বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জাল শংসাপত্রের পর্দাফাঁস হতেই সজাগ প্রশাসন! সচেতনতার বার্তা বিডিওর
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৪ জানুয়ারি: বিশেষ ভাবে সক্ষমদের দেওয়া জাল শংসাপত্রের কুকীর্তির পর্দাফাঁস হতেই আরও সজাগ প্রশাসন, জনসংযোগ এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে গিয়ে সচেতনতার বার্তা বিডিওর, খতিয়ে দেখলেন সব সার্টিফিকেট।
বিশেষ ভাবে সক্ষমদের দেওয়া জাল শংসাপত্রের পর্দাফাঁস। পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে বিডিওর হাতে সেই পর্দা ফাঁস হয়। পুলিশের এক হোমগার্ড, এক তৃণমূল কর্মী সহ গ্রেফতার হয় তিনজন। সামনে আসে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা। জানা যায়, এই ভাবে টাকার বিনিময়ে ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে এলাকায় এলাকায় হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছে। আর সেই ঘটনা সামনে আসতেই এবার তৎপর এবং সজাগ প্রশাসন।
বুধবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গড়গড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ময়দানে জনসংযোগ এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল। সঙ্গে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও বিপ্লব ঘোষ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক কৃষি আধিকারিক পলাশ সিদ্ধা। সেখানে মাটিতে মাদুরে বসে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সমস্যা এবং অভিযোগ শোনেন। সমস্যা সমাধানের উপায় বলে দেন। তার সাথে সচেতন করেন উপভোক্তাদের, যাতে তারা প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়। সরকারি কোনও প্রকল্প বা সার্টিফিকেটের জন্য যাতে কাউকে টাকা না দেয়।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শালদহ গ্রামে ভুয়ো সার্টিফিকেটের প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করেন বিডিও। জানা যায়, পুলিশের কর্তব্যরত এক হোমগার্ড, তার জামাইবাবু এক তৃণমূল কর্মী এবং ছাপা দোকানের মালিক বিশেষ ভাবে সক্ষমদের টাকার বিনিময়ে ভুয়ো সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন, যাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এমন কি বিশেষ ভাবে সক্ষম নন কিন্তু তাদের জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন প্রতারকরা, যারা আবার ভাতাও পাচ্ছেন।
এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয় এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তারপরেই এদিন জনসংযোগ এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে গিয়ে আরও সজাগ বিডিও। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সব সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখলেন। সচেতন করলেন উপভোক্তাদের।
No comments:
Post a Comment