রবি ফসলের জন্য বিপজ্জনক কুয়াশা! ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে আজই নিন এই ব্যবস্থা
রিয়া ঘোষ, ০৯ জানুয়ারি : দেশে বর্তমানে রবি শস্যের মরসুম চলছে। কারণ শীতকালে রবি শস্য বপন করা হয়, এই সময়ে কৃষকদের হিম সমস্যায় পড়তে হয়। গত কয়েকদিন ধরে দেশে তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে কমছে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে। এমতাবস্থায় কৃষকরা বড় সমস্যায় পড়তে পারে এবং তাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কৃষি বিজ্ঞানীরাও কৃষকদের সতর্ক করেছেন এবং এ জন্য সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। জেনে নিন তুষারপাত এড়াতে কৃষক ভাইরা কী করতে পারেন।
শীত মরসুমে তুষারপাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমতাবস্থায় কৃষকদের উচিৎ তাদের জমিতে হালকা সেচ দেওয়া, এতে মাটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শীতকালে তুষারপাতের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নার্সারিতে। এমতাবস্থায় আপনার উৎপাদিত ফসল বাঁচাতে গাছগুলোকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিন। তবে দক্ষিণ-পূর্ব অংশ খোলা রাখুন যাতে নার্সারিতে সকাল ও বিকেলের সূর্যালোক পাওয়া যায়। একইভাবে, রাত ১০-১২টার মধ্যে মাঠের উত্তর-পূর্ব দিকে আবর্জনা জ্বালিয়ে দিন, এতে আশেপাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং তুষারপাতের ঝুঁকিও কমবে।
এ ছাড়া স্থায়ী সমাধানের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম দিকে বায়ুরোধকারী গাছের বেড়া তৈরি করা যেতে পারে, যা হিমের প্রভাব অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। তুষারপাতের প্রভাব দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তাই যদি এই সময়ের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বা তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকে, তবে ১৫ দিনের ব্যবধানে সালফিউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন, যাতে ফসল হিম থেকে নিরাপদ থাকে এবং গাছপালা আয়রন পেতে পারে। কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়।
একই সময়ে, যদি আপনার ফসল তুষারপাতের শিকার হয়, তবে তাদের পুনরুদ্ধারের জন্য, উপযুক্ত পরিমাণে জলে মিশিয়ে ৫ গ্রাম NPK ১৮:১৮:১৮, ১৯:১৯:১৯ এবং ২০:২০:২০ স্প্রে করুন। এছাড়া ৮০ শতাংশ দ্রবণীয় সালফার প্রতি লিটারে ৩ গ্রাম হারে, থায়োরিয়া ৪-৫ গ্রাম প্রতি লিটার হারে বা বেন্টোনাইট সালফার প্রতি লিটার ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। এ ছাড়াও কৃষকরা একর প্রতি ৮-১০ কেজি সালফার ডাস্ট, মিউরিয়েট অফ পটাশ প্রতি ট্যাঙ্কে ১৫০ গ্রাম এবং একর প্রতি ১.৫ কেজি ১৫০ লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment