কাঁধের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন ডায়াবেটিস রোগীরা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারি:
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁধের ব্যথায় ভোগেন।ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এটি বেশি হয়ে থাকে। এর ফলে ব্যথার পাশাপাশি কাঁধের সংযোগস্থল শক্ত হয়ে পড়ে।পর্যায়ক্রমে রোগী হাত ওপরে ওঠাতে পারেন না এবং জামাকাপড় পড়তে পারেন না।এমনকি চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতেও কষ্ট হয়।
কারণ:
●স্ট্রোকের পর এ সমস্যা হতে পারে। সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলোসিস রোগে ঘাড় ও বাহুর ব্যথার কারণে রোগী হাতের নড়াচড়া কমিয়ে দেন।এতে ক্রমেই কাঁধের সংযোগস্থল শক্ত হয়ে যেতে পারে।
●রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা ফ্রোজেন শোল্ডারের অন্যতম কারণ।এছাড়া হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাতে গিয়ে আগে কখনো ব্যথা পেয়েছিলেন কিন্তু গুরুত্ব দেননি।তা থেকেও এ ব্যথা হতে পারে।
●বয়স চল্লিশের ওপর গেলে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। এ সময় জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে যেতে থাকে। এ কারণে কাঁধের ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।
●চালক হঠাৎ কষে ব্রেক করলে গাড়ির যাত্রীরা নিজেদের রক্ষার জন্য হাতল বা কোনো কিছু শক্ত করে ধরে ফেলেন বা ধরার চেষ্টা করেন। এতে অনেকে ব্যথা পেয়ে থাকেন। যা পরে কাঁধ ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিকার:
●ফ্রোজেন শোল্ডার খুব ধীরে ধীরে সারে।পুরোপুরি সারতে কয়েক মাস এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
●কাঁধে খুব ব্যথা না হলে ব্যথানাশক ওষুধ পরিহার করা ভালো।তবে মাংসপেশি স্বাভাবিক করতে মাসল রিলাক্সেন্ট জাতীয় ওষুধের প্রয়োজন পড়ে।
●পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী ফিজিওথেরাপি । এ রোগের চিকিৎসায় কিছু ইলেকট্রো থেরাপিউটিক এজেন্ট খুব উপকারী।
●রোগীকে প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম করতে হয়।অবশ্যই রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment