মানসিক চাপে থাকা মানুষের লক্ষণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি:
আমাদের আশে পাশে ঘুরতে থাকা মানুষগুলোকে দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও তাদের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে না বলা অনেক কথা,অনেক যন্ত্রণা।আবার অনেকে হয়তো মুখ ফুটে অনেক কথা বলতেও চায়। কিন্তু ব্যস্ত এই জীবনে যেখানে নিজের জীবনের বোঝা বইতেই সবাই ব্যস্ত সেখানে অন্যের দুঃখের কথা শুনার সময় কোথায়। ফলে যা হয় তা হল সেই না বলা কথা গুলো মনেই থেকে যায়।আর তা ধীরে ধীরে আকার নেয় এক বিশাল পাহাড়ের।যার নাম মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা। যা থেকে মানুষ মুক্তি পায় না। যদি না কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। আর তা না হলে তা লুকিয়ে রাখে নিজের মাঝেই।
অনুভূতিগুলো লুকিয়ে রাখতে চায়:
নিজের অনুভূতিগুলো দাবিয়ে রাখতে চায় নিজের ভেতর। যদি তা বাইরে বের হয়ে আসে তাহলে লোকে কী বলবে? এই ভয় তাদের মাঝে সর্বদা কাজ করে।তাছাড়া যারা চাকরি করেন না তারা অনেক কারণেই নিজেদের অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করতে চায় না। যদি তা উল্টোভাবে চাকরিতে প্রভাব ফেলে তাই তারা চুপ থেকে যায় আর বাড়িয়ে যায় মনের বোঝা।
পুরোনো স্মৃতি মনে রাখতে চায়:
স্মৃতি জীবনের এমন একটি অংশ যা মানুষ ইচ্ছে করলেই বাদ দিতে পারে না। তাই স্মৃতির জালে নিজেকে জড়িয়ে রাখে। যা তাকে মানসিক চাপে রাখে।হয়তো সে প্রানপণ চেষ্টা চালায় তা থেকে বেরিয়ে আসার কিন্তু পারে না।
ঘরকুনো:
রিসাসেষ্ট ইউনিভার্সিটি অফ রোচেস্টার মেডিকেল সেন্টার এর তথ্য মতে মানসিক চাপে পড়ে মানুষ বা বিষণ্ণতায় পড়া মানুষ খুব জলদি ঘরকুনো হয়ে ওঠে।অন্যদের দেখাদেখি যদিও সে বাইরে যেতে চায় বা ঘুরতে চায় তা খুবই সাময়িক সময়ের জন্য।তারা চায় নিজেকে অন্যের থেকে দূরে রাখতে,কিছুটা একা থাকতে।
খাবার খাওয়ায় ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক আচরণ:
প্রচুর মানসিক চাপ আপনার খাবার-দাবার থেকে রুচি নষ্ট করে দেয়। কিছু খেতে দিলে তা না খাওয়া কিংবা প্রচুর পরিমাণে কিছু খাওয়া মানসিক চাপের লক্ষণ।তাছাড়া মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় মানুষের খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। ফলে কোনো কারণ ছাড়াই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
No comments:
Post a Comment