চু-মু খেলেই কমবে ওজন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০২ জানুয়ারি:
কারো প্রতি ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশের অন্যতম ভাষা হচ্ছে চুমু। প্রিয়জনের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু,হোক তো মৃদু কিংবা গাঢ়,এই অনুভূতি অন্যকোনোভাবে বোঝানো সম্ভব নয়।এমনকী ছোটখাটো মান অভিমান দূর করতেও এর জুড়ি নেই। তবে শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশ করতেই নয়,চুমুর নাকি রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা এই উপকারটি সামনে এনেছে।লস অ্যাঞ্জেলসের সেক্সোলজিস্ট জাইয়া কিন্সবাক-ও এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এই গবেষকদের মতে,কেবলমাত্র হার্টবিট ঠিক রাখা বা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করাই নয়,শরীরকে টোনড ও মেদহীনও রাখে চুমু।
জাইয়ার মতে,গাঢ় চুমুর বেলায় মিনিটে ৪-৬ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হতে পারে । কতটা আন্তরিকতা সঙ্গে ও কতক্ষণ একটানা চুমু খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে কতটা ক্যালোরি ঝরবে।
তবে ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও ইউরোপে 'সেক্সোরসাইজ' শব্দটি এক্সারসাইজের মতোই জনপ্রিয় হয়েছে।বিভিন্ন গবেষক ও সেক্সোলজিস্টদের মতে,জিমে গিয়ে কয়েক ঘন্টা শারীরিক কসরত বা ঘড়ি ধরে জগিংয়ে যেটুকু মেদ ঝরে ঠিক ততটাই চুমু খেলে ঝরে।নিয়মিত চুমুতে ফিল গুড হরমোনদের ক্ষরণ নিয়মিত থাকে।ফলে শরীর টোন্ড থাকে।অবাঞ্ছিত মেদ বা ক্যালোরি ঘাঁটি গড়াতে পারে না। বরং অনিয়মের যেটুকু মেদ থাকে,তাও গলে যায় সহজেই।
তবে শুধুমাত্র শারীরিক কসরত বাদ দিয়ে কেবল চুমুতে আস্থা রাখছেন না তারা। কারণ,শারীরিক কসরত বা জগিংয়ে কেবল ক্যালোরি ঝরে তা-ই নয়,শরীরকে সক্রিয় রাখতেও কাজে আসে।
বিজ্ঞানীদের মতে,সারাদিনের কাজ ও ব্যস্ততায় যে মানসিক চাপের জন্ম হয়,সেটাই জন্ম দেয় নানা অসুখ।সম্পর্ককে সুন্দর রেখে যদি সঙ্গীর সঙ্গে নিভৃতে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন,তাহলে সেসব অসুখও ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই।
গবেষকদের মতে,দিনে অন্তত ৩-৪বার চুমুতে মিলবে উপকার। শুধু তা-ই নয়,এমন ভঙ্গিমায় চুমু খেতে হবে,যাতে মুখের পেশীগুলো সক্রিয় হয়।
No comments:
Post a Comment