অ্যালার্জির সমস্যা আছে কী না জানুন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ জানুয়ারি:
অ্যালার্জি হচ্ছে আমাদের ইমিউন সিস্টেমের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পরিবেশের কোনো অ্যালার্জেনের কারণে শরীরে অতিসংবেদনশীল কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া হলে দেখা যায় অ্যালার্জি।একে বলে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন বা হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশন।
অ্যালার্জির প্রধান লক্ষণ হল হাঁচি,কাশি,চুলকানি,চামড়া ফুল যাওয়া,লালা হওয়া,জ্বালাপোড়া ইত্যাদি। আর বেশি গুরুতর হলে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট,পেটব্যথা,কমে যায় রক্তচাপ। এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাই অ্যালার্জি অবহেলা করা যাবে না।প্রতিকার করতে হবে।যদি কোনো কারণ নির্ণয় করা না যায়,তাহলে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
অ্যালার্জিক চোখ ওঠা:
অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ থেকে জল পড়ে,ব্যথা করে,চুলকায়। ৬থেকে ১২বছরের শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়।ঠান্ডা লাগলে বা ধুলাবালু লাগলে তাদের চোখ লাল হয়ে যায়।
ওষুধে অ্যালার্জি:
কিছু মানুষের কোনো বিশেষ ওষুধে অ্যালার্জি থাকে।ওই ওষুধ গ্রহণ করার পর শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। আরও গুরুতর হলে মুখে ঘা,শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। তাহলে বুঝে নিতে হবে,ওই ওষুধের প্রতি তাঁর হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে। যদি কারও এমন হয়ে থাকে,তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা বন্ধ করে দিতে হবে এবং লিখে রাখতে হবে।পরবর্তী সময়ে ওই গ্রুপের ওষুধ তাঁকে আর দেওয়া যায় না।
খাবারে অ্যালার্জি:
ইলিশ মাছ,বেগুন,চিংড়ি,সামুদ্রিক মাছ খেলে কারও কারও শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। বমি বমি ভাব হয়। এটাও একধরনের অ্যালার্জি। তাঁদের শরীর ওই খাবারের জন্য উপযোগী নয়। অন্যদের জন্য খাবারগুলো স্বাভাবিক হলেও তাঁদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। কারও কারও বমি বা ডায়রিয়াও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment