হানিনাট খাওয়ার স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারি:
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে হানিনাট ভীষণ পরিচিত পেয়েছে। এর নাম শুনেই বোঝা যায় এটি মূলত মধু আর বাদাম মিশ্রিত কোনো খাবার।বিশেষ করে শীতকাল আসলে হানি নাটের বিক্রি ও আলোচনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে হানি নাট খাবারের যেসব উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয় তা কি সব সত্যি?
মধু ও বাদাম দুইটিই পুষ্টিকর বলে একসঙ্গে খেলে উপকারিতা মেলে বেশি।কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি হতে পারে বিপদের কারণও। বিশেষ করে তিন শ্রেণীর লোকের জন্য হানি নাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে-ডায়াবেটিস রোগী,স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন যারা এবং কিডনি জটিলতায় আছেন যারা।
ডায়াবেটিস রোগী:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুপযোগী খাবারের মধ্যে মধু একটি। তাই হানি নাট ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া নিষেধ।
মধুর মূল উপাদান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। তাই মধু খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে।
কিডনি রোগী:
কিডনি ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেতে নিষেধ করা হয়। তাই কোনো কিডনি রোগী হানি নাট খেলে বাদামের কারণে তার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাবে।সেক্ষেত্রে কিডনিজনিত জটিলতা,যেমন-পা ফুলে যাওয়া,শরীর চুলকানি,শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরও বাড়বে।
ওজন বেশি থাকলে:
যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন,তাঁরা হানি নাট খাবেন না। মধু সরল শর্করা। এর গ্লাইসেমিক ইনড়েক্স অনেক বেশি বলে এটি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে।
তবে আপনার যদি বিশেষ কোনো শারিরীক জটিলতা না থাকে,তাহলে প্রতিদিন হালকা খাবার হিসেবে পরিমিত হানি নাট খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment