ভেজানো ছোলা-কিশমিশ একসঙ্গে খাচ্ছেন? আদৌ উপকারী তো?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারি: কিশমিশ দেখতে কালচে কুঁচকে যাওয়া হলেও এটি পুষ্টির ভাণ্ডার। কিশমিশ শুকনো ফলের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি বেশিরভাগই ক্ষির, পায়েস বা ফিরনিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও মিষ্টি সাজানোর জন্য কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। কিশমিশ শুকনো আঙুর থেকে তৈরি করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ ও ছোলা যদি একসঙ্গে খাওয়া যায়, তাহলে এর উপকারিতা অনেক। খালি পেটে কিশমিশ ও ছোলা ভেজানো খেলে অন্ত্র সুস্থ থাকে। বিশেষ করে এটি ব্লাড প্রেসারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
ভেজানো কালো ছোলা ও কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা
কালো ছোলায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং পটাশিয়াম, যা পেটের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এর অন্যান্য উপকারিতা-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
রক্তচাপের রোগী যদি খালি পেটে কিশমিশ ও ছোলা খান, তাহলে অনেক উপকার হয়। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তিদের খালি পেটে ছোলা এবং কিশমিশ খাওয়া উচিৎ।
ছোলা এবং কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ভেজানো কিশমিশ কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে এবং হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়
আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছেন তাহলে খালি পেটে কিশমিশ খেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আপনার মিষ্টি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চান, আপনি ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে পারেন, এটি আপনার মিষ্টির লোভ নিয়ন্ত্রণ করবে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক।
কিশমিশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এমন পরিস্থিতিতে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এছাড়াও, যদি আপনার শরীরে কোনও সংক্রমণ থাকে তবে কিশমিশ তা নিরাময়েও সহায়তা করে।
হাড় মজবুত করার কাজ
কিশমিশ খেলে হাড় মজবুত হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ভেজানো কিশমিশ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এটি আপনার হাড় ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment