মালদ্বীপ ও চীনের নৈকট্যের কারণে ভারতের জন্য কী হুমকি? মোদী সরকারকে সতর্ক করলেন শশী থারুর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ জানুয়ারি : মালদ্বীপ ও চীনের নৈকট্যের কারণে কি ভারতের কী বিপদ? এই প্রশ্ন উঠছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বক্তব্যে। মালদ্বীপ ও চীনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মোদী সরকারকে সতর্ক করেছেন কংগ্রেস নেতা। শশী থারুর বলেছেন যে, "চীনের সাথে মালদ্বীপের নৈকট্য সম্পর্কে সরকারের সতর্ক হওয়া উচিৎ এবং এটি যে বিপদ ডেকে আনছে সে সম্পর্কে সরকারকে সচেতন হওয়া উচিৎ।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর মালদ্বীপ-ভারত কূটনৈতিক বিরোধ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন শশী থারুর। তিনি বলছেন, "সর্বশেষ বিরোধের পর চীন এখন ভারতের সীমান্তে তার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। চীনের সাথে মালদ্বীপ সরকারের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।"
শশী থারুর, যিনি মনমোহন সিং সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, বলেছেন, "চীন যে আমাদের সমস্ত প্রতিবেশী দেশে দ্রুত প্রভাব বাড়াতে চাইছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ।”
আসলে ভারত মহাসাগরে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায় চীন। এ জন্য তার দরকার মালদ্বীপ। মালদ্বীপে নতুন সরকার গঠিত হলে চীনের প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়, কারণ মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চীনের সমর্থক। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিরোধের কারণে মালদ্বীপ ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি মহম্মদ মুইজ্জু চীন সফর করেন এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাতের পর দুই দেশ ভ্রমণ ও সামুদ্রিক অর্থনীতিসহ ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
দুই দেশের গভীর সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ভারত। চীন এখন মালদ্বীপে তার সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চায়, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, এখন মালদ্বীপ সরকার ভারত সরকারকে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। মালদ্বীপ সরকার বিশ্বাস করে যে দেশে ভারতীয় সেনা উপস্থিতি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা ফিরে গেলে সামরিক ঘাঁটি তৈরিতে চীনের প্রচেষ্টা সরাসরি লাভবান হবে। মালদ্বীপে ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment