এ কী কাণ্ড! ভূমিকম্পের পর জাপানে ৮২০ ফুট পিছিয়ে গেল সমুদ্র
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ জানুয়ারি: স্যাটেলাইট চিত্রগুলি দেখায় যে ১ জানুয়ারী, ২০২৪ সালে জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে, এর উপকূলগুলি ৮০০ ফুটেরও বেশি সরে গেছে। বছরের প্রথম দিনে জাপানের নোটো উপদ্বীপে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কায় নোটো উপদ্বীপের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়। এরপর সেখানকার জমিতে পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অনেক দ্বীপ সমুদ্রে সামান্য উপরে উঠে গেছে, যার কারণে সমুদ্র একটু দূরে চলে গেছে।
স্যাটেলাইট চিত্রগুলি দেখায় যে তখন এবং এখন পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হয়েছে। স্পষ্টভাবে শুধুমাত্র ছবিতেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। নাহেল বেলঘার্জ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ছবিগুলি শেয়ার করেছেন।
ভূমিকম্পের কারণে অনেক সৈকত শুকিয়ে গেছে। এখন নৌকার তীরে পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্প ও সুনামির পর নোটো উপদ্বীপে এসব ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন দেখা গেছে। এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।
সমুদ্র দুটি ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্য পিছিয়েছে।
স্যাটেলাইটের ছবিগুলো ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আগে যেখানে জল ছিল সেগুলো এখন শুকিয়ে গেছে। জল অনেকটাই পিছনে চলে গেছে। প্রায় ৮২০ ফুট পিছনে, যা দুটি আমেরিকান ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্যের সমান।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর নোটো উপদ্বীপের কাইসো থেকে আকাসাকি পর্যন্ত দশটি জায়গায় উপকূলীয় ভূমি বেড়েছে। তার মানে সাগরের জল আরও নিচে নেমে গেছে। তার মানে উপকূল থেকে সমুদ্রের দূরত্ব বেড়েছে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় কোসিসমিক কোস্টাল আপলিফ্ট।
একই জিনিস স্যাটেলাইট ফটোতেও নিশ্চিত করা হয়েছে
সুনামির ঢেউ ১৪ ফুট উঁচু আকাসাকি বন্দরে পৌঁছেছে। সেখানকার ভবনগুলোর দেওয়ালে চিহ্ন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জাপানি মহাকাশ সংস্থা JAXA-এর ALOS-2 স্যাটেলাইটও উপকূলীয় উত্থান রেকর্ড করেছে। স্যাটেলাইট যখন ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারী তোলা ছবিগুলি ২০২৩ সালের জুনে তোলা ফটোগ্রাফের তুলনায় পরীক্ষা করে, তখন একই পার্থক্য উঠে আসে।
No comments:
Post a Comment