ডাল-কাহিনী
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,১৪ জানুয়ারি: ডাল ও শুঁটি আমাদের রান্নাঘরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।তবে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও শুঁটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সবার কাছে নেই।ডাল এবং শুঁটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এগুলোর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।এগুলো স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।এগুলো ফাইবার,প্রোটিন,ভিটামিন বি এবং অন্যান্য খনিজগুলির একটি চমৎকার উৎস।আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই ডাল ও শুঁটির বিভিন্ন জাত এবং এদের উপকারিতা।
কিডনি বিন বা রাজমা -
সবচেয়ে বেশি খাওয়া শুঁটি হল রাজমা।রাজমা-ভাত প্রায় সকলেরই প্রিয়।এটি ফাইবার সমৃদ্ধ,যা রক্তে কম চিনি শোষণ করতে সাহায্য করে,যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
কালো রাজমা বা কালো শুঁটি -
এটি ফাইবার,প্রোটিন এবং ফোলেটের একটি চমৎকার উৎস। অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম,যার কারণে খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ থাকে।
পিন্টো শুঁটি -
এটি ফাওয়া শুঁটি বা বাকলা নামেও পরিচিত।ব্লাড সুগার কমানোর পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরলও কমায় এবং সুস্থ অন্ত্র বজায় রাখে।অন্যান্য শুঁটিগুলির মতো,এটি খাওয়ার পরে যে সুগার স্পাইক হয় তাও হ্রাস করে।
কাবুলি ছোলা -
এটি ফোলেট,ফাইবার এবং প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। গবেষণা অনুসারে,ছোলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ইনসুলিনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে।এটি অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং অন্ত্রে উপস্থিত খারাপ ব্যাকটেরিয়া কমায়।
মটর -
এটি ফাইবার এবং প্রোবায়োটিকের একটি ভালো উৎস।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে,মটর খাওয়ার পর ইনসুলিন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডও কমায় এবং পূর্ণতার অনুভূতি বাড়ায়।এটি সুস্থ অন্ত্র সমর্থন করে।
লাল মসুর ডাল -
এটি ভারতীয় খাবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।এটি স্যুপ,স্টু, টাকো এবং অন্যান্য অনেক খাবারে ব্যবহৃত হয়।এটি প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
মুগ ডাল -
এটি সবচেয়ে হজমযোগ্য ডাল,যার কারণে মানুষ অসুস্থ হলে প্রায়ই মুগ ডালের খিচুড়ি খেয়ে থাকে।এটি বাজারে খোসা সহ, খোসা ছাড়ানো এবং গোটা মুগ ডাল আকারে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment