শীতকালে ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঝুঁকিতে কারা থাকেন জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,১৬ জানুয়ারি: ভিটামিন ডি শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলির মধ্যে একটি।এটি শুধু একটি ভিটামিনই নয়,এটি হরমোন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।ভিটামিন ডি একটি চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।এটি ছাড়া জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেই শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হবে।অর্থাৎ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে ক্যালসিয়াম শরীরে শোষিত হবে না,যার কারণে হাড় দুর্বল হতে শুরু করবে।ভিটামিন ডি শরীরে অনেক ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।ভিটামিন ডি শরীরে প্রদাহ প্রতিরোধ করে,যার কারণে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। হার্ভার্ড মেডিকেলের মতে,নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতেও সক্ষম।এই সব বিষয় মাথায় রেখে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকা জরুরি।কিন্তু কারও কারও শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি শীতকালে বেড়ে যায়।
শীতকালে ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঝুঁকিতে কারা থাকেন?
ডার্ক স্কিন -
আমেরিকান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী,যাদের ত্বক কালচে,শীতকালে তাদের ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঝুঁকি বেশি থাকে।শীতকালে তাদের ত্বকে মেলানিন পিগমেন্টেশন কমে যায় যার কারণে ত্বক সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি সংশ্লেষণে দুর্বল হয়ে পড়ে।অন্যদিকে, বয়স্কদের ত্বকও শীতে কালো হতে শুরু করে।তাই তারাও শীতকালে ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগতে শুরু করেন।
অভ্যন্তরীণ বাসিন্দা -
যারা ঘরে থাকতে পছন্দ করেন তারা সবসময় ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঝুঁকিতে থাকেন।বিশেষ করে শীতকালে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভোগেন এই মানুষগুলো।যদিও শীতকালে ঘন কুয়াশা থাকলে বাইরে বের হওয়া উচিৎ নয়,তবে সূর্যের আলোয় অবশ্যই বের হওয়া উচিৎ।অন্যথায় ভিটামিন ডি-এর মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন -
যাদের ওজন বেশি তাদের শীতকালে ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঝুঁকি বেশি থাকে।কারণ শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে এই অতিরিক্ত চর্বি সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।এই কারণে অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি-এর পর্যাপ্ত মাত্রা গ্রহণ করা উচিৎ।
কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন -
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি মিলিলিটার রক্তে ভিটামিন ডি ২০ ন্যানোগ্রাম থেকে ৫০ ন্যানোগ্রামের মধ্যে থাকা উচিৎ। ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।যেসব মাছ বেশি তৈলাক্ত,যেমন- টুনা,স্যামন, ম্যাকেরেল ইত্যাদিতে ভিটামিন ডি বেশি থাকে।ডিম এবং প্রাণীর লিভারেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।এছাড়াও নিরামিষাশীদের মাশরুম,বাদাম, ওটস,সয়া ইত্যাদি খাওয়া উচিৎ।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment