মিড ডে মিলে বেনিয়ম নিয়ে বিক্ষোভ! পরিদর্শনে এসে চক্ষু চড়কগাছ জন-প্রতিনিধিদের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 10 January 2024

মিড ডে মিলে বেনিয়ম নিয়ে বিক্ষোভ! পরিদর্শনে এসে চক্ষু চড়কগাছ জন-প্রতিনিধিদের


মিড ডে মিলে বেনিয়ম নিয়ে বিক্ষোভ! পরিদর্শনে এসে চক্ষু চড়কগাছ জন-প্রতিনিধিদের 




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১০জানুয়ারি: এ যেন কেঁচো খুড়তে কেউটে! মিড ডে মিল নিয়ে রাধুনীদের বিক্ষোভের খবর সম্প্রচারিত হয় সংবাদমাধ্যমে। সেই খবরের জেরেই বুধবার স্কুল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু সেখানে গিয়েই চক্ষুচড়ক গাছ তাদের। শুধু মিড ডে মিল নিয়ে সমস্যা নয়, পরিকাঠামগত একাধিক সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুল। পানীয় জল নিয়ে ব্যাপক সমস্যা। ভগ্নদশা শৌচালয়ের। ছাত্রীদের শৌচালয় রয়েছে উন্মুক্ত অবস্থায়। স্কুলের বেহাল দশার কথা মেনে নিলেন জন-প্রতিনিধিরা। স্কুলকে ঘুঘুর বাসা বলা তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ফের একবার তোপ দাগলেন প্রধান শিক্ষককে। যদিও স্কুলে কোন সমস্যাই নেই এমনটাই দাবী করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ঘটনা মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের। 


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর হাই স্কুল। এই স্কুলের রাধুনীরা মঙ্গলবার মিড ডে মিল নিয়ে বেনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ করেন। ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মোহাম্মদ মুজাহিদও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে স্কুলকে ঘুঘুর বাসা বলেছিলেন। সেই খবর সম্প্রচারিত হয়ে সংবাদমাধ্যমে। তারপরে এদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলী এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মোঃ মুজাহিদ স্কুল পরিদর্শনে যান। গিয়ে দেখেন মিড ডে মিলের ঠিকঠাক রান্না হলেও পুরনো আলু ব্যবহার করা হচ্ছে। যে পুরনো আলু বর্তমানে বাজারে অমিল। 


কিন্তু মিড ডে মিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে পারিপার্শ্বিক বহু সমস্যা সামনে চলে আসে। পানীয় জলের কল থাকলেও ঠিকঠাক পড়ে না জল। অপরিচ্ছন্ন শৌচালায়। ছাত্রীদের শৌচালয় রয়েছে উন্মুক্ত অবস্থায়। সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর এই বেহাল দশা থেকে তাজ্জব হয়ে যান স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা। পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে তারা মেনে নেন। 


স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, 'এই কারণে স্কুলকে ঘুঘুর বাসা বলেছিলাম।' এছাড়া স্কুলের ছাত্রদের ভর্তির ফি হিসাবে ৩৫০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা এসে জানতে পারেন সেই ফি নেওয়া হচ্ছে অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে ফের সামনে এল সরকারি স্কুলের বেহাল দশা। যে বেহাল দশা নিজে চোখে দেখলেন স্থানীয় জন-প্রতিনিধির। 


এদিকে এত কিছুর পরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের দাবী,কোন সমস্যাই নেই। আর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উল্টে জলের কল থেকে শৌচালয় দরজা ভাঙার দায় চাপিয়ে দেন কিছু ছাত্রছাত্রীর ওপর।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad