বহু গুণে গুণী কারিপাতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 6 January 2024

বহু গুণে গুণী কারিপাতা


বহু গুণে গুণী কারিপাতা

প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,৬ জানুয়ারি: কারিপাতাকে অনেক জায়গায় কড়িপাত্তাও বলা হয়।এটি একটি মিষ্টি নিম পাতা যা প্রায়শই স্বাদ বাড়াতে খাবারে যোগ করা হয়।এছাড়াও এই পাতার অনেক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপকারিতা পাওয়া যায়।এই পাতা প্রতিদিন খাওয়া হলে আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায়।

চুল মজবুত করে - 

প্রতিদিন কারিপাতা খেলে চুল পড়া রোধ করা যায় এবং চুল মজবুত ও ঘন হয়।কারণ এই পাতা খেলে চুল ভিটামিন, ফসফরাস এবং আয়রন সহ অনেক পুষ্টি পায় যা চুলকে অভ্যন্তরীণভাবে পুষ্টি জোগায় এবং মজবুত করে।চুল কালো ও ঘন করতে নারকেল তেলে কারিপাতা সেদ্ধ করে সেই তেল চুলে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে - 

আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস কারিপাতা শরীরকে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করে।রক্তাল্পতা বা রক্তের অভাবে খালি পেটে কারিপাতা খেলে উপকার পাবেন।

হজমে সহায়ক - 

হজমে সমস্যা হলে বা ডায়রিয়া হলে কারিপাতা পিষে বাটার মিল্কের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।এটি পেটের অস্বস্তিও প্রশমিত করবে এবং পেটের সমস্ত ব্যাধি দূর করতে সহায়ক হবে।

ডায়াবেটিসে উপকারী - 

আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন,তাহলে ডায়েটে কারিপাতা অন্তর্ভুক্ত করে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি খুবই উপকারী।

কাশি এবং কফে উপকারী -  

শ্লেষ্মা বা কফ,শুকিয়ে যাওয়া কফ বা ফুসফুসে কনজেশনের ক্ষেত্রে কারিপাতা খুব সহায়ক বলে প্রমাণিত।এর জন্য কারিপাতা পিষে বা মধুর সঙ্গে গুঁড়ো মিশিয়ে খান।

চর্মরোগে উপকারী -

কারিপাতা যেকোনও ধরনের চর্মরোগে উপকারী।আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন,তাহলে প্রতিদিন কারিপাতা খান এবং পেস্ট তৈরি করে লাগান।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে -

কারিপাতা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

চোখের জন্য উপকারী - 

এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।  খাবার খাওয়ার পর কারিপাতা খেতে হবে।সকালে খালি পেটে মধুর সাথেও খেতে পারেন।

ওজন কমাতে সহায়ক - 

এতে উপস্থিত উপাদানগুলির অ্যান্টি-ওবেসিটি এবং লিপিড কমানোর প্রভাব রয়েছে যা স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে -

এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।সকালে খালি পেটে ৫ থেকে ৬ টি পাতা চিবিয়ে কুসুম গরম জল পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।

গ্যাসে উপকারী - 

কারিপাতায় উপস্থিত কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য গ্যাস এবং ফোলাভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে।

মর্নিং সিকনেস দূর করে - 

সকালে অনেকেই মর্নিং সিকনেসে ভুগে থাকেন,অর্থাৎ সেই সময় তাদের বমি হয় এবং বমি-বমি ভাব শুরু হয়।এমন পরিস্থিতিতে কারি পাতা খেলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad