নবাবগঞ্জের বেগুন মেলে কেবল এই জেলাতেই, জানেন কেন এমন নাম?
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০২ জানুয়ারি: দেখতে কিছুটা বোতলের মত। একটি বেগুনের ওজন সর্বোচ্চ দুই কেজি পর্যন্ত। এত বড় বেগুন দেখেছেন? গল্প নয়, সত্যি। মালদায় চাষ হয় সর্বোচ্চ ওজনের এই বেগুন। ৮০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি পর্যন্ত এক একটি বেগুনের ওজন হয়। তবে মালদার সর্বত্র পাবেন না এই বেগুন। কোথায় পাওয়া যায় এই বিশাল বেগুন জানেন? পুখুরিয়ার রাজাপুরে মূলত চাষ হয় এই বেগুন। এছাড়াও ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী পুরাতন মালদার মহিষবাথানী, গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকায় কিছু পরিমাণ জমিতে চাষ হয়। এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন।
এই প্রজাতির বেগুন আর অন্য কোথাও চাষ হয় না। এই এলাকার কৃষকেরাই চাষ করেন। প্রতিবছর কৃষকেরা বেগুনের বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে সেই বীজ বপন করেন কৃষকেরা নিজেই। এই প্রজাতির বেগুনের বীজ কোথাও কিনতেও পাওয়া যায় না। প্রাচীন কাল থেকেই এই বেগুনের চাষ হয়ে আসছে মালদায় এমনই দাবী কৃষকদের। একসময় মহানন্দা নদীর তীরে নবাবগঞ্জে বিশাল হাট বসত। কৃষকেরা ওই হাটেই এই বিশাল বেগুন বিক্রি করতেন। হাটের নাম অনুসারেই এই বেগুনের খ্যাতি। তাই এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এখনও এই নামেই পরিচিতি বিশাল এই বেগুনের।
বর্তমানে বিশাল আকারের এই বেগুনের দাম ১০০ টাকা কেজি। মালদা শহরের বাজারে পাওয়া যায়। একটি বেগুনের ওজন অনেক, আবার দামও বেশি। তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এখন এই বেগুন।
মালদা জেলায় উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার তিনটি ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এই বেগুন বর্তমানে চাষ হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই বেগুনের ওজন অনেকটাই কম হচ্ছে। কারণ গতানুগতিক চাষ। ৮০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয় একটি বেগুনের ওজন। এই বেগুনগুলিতে বীজ থাকে প্রায় ৫০ গ্রাম। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ, মাটির উর্বরতা ও আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন।
No comments:
Post a Comment