অদৃশ্য বুনোদের দেখতে নতুন যন্ত্র, এল অত্যাধুনিক বন্দুকও
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২১ জানুয়ারি: ডুয়ার্সের লোকালয়ে হাতি সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীদের হানা যেন নিত্য সঙ্গী গ্রামবাসীদের কাছে। লোকালয়ে কিংবা জঙ্গলে বন্য প্রাণীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার জন্য বন কর্মীদের কাজের সুবিধার্থে এবার বন দফতরের হাতে এল অত্যাধুনিক যন্ত্র। সম্প্রতি গরুমারা বন্যপ্রাণ ডিভিশন থেকে প্রথম ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডকে প্রদান করা হয়েছে অত্যাধুনিক থার্মাল ইমেজিং স্ক্যানার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়ার বন্দুক এবং ড্রোন।
শীতকালে ঘন কুয়াশায় লোকালয়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হাতি, চিতাবাঘ, বাইসন সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে অত্যাধুনিক থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার মাধ্যমে। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকলে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা বুনোরা ঠিক কতটা দূরে রয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাবে রেঞ্জ ফাইন্ডারের মাধ্যমে। অনেক সময় দেখা যায় লোকালয়ে বন্যপ্রাণীরা এসে তাণ্ডব শুরু করে, সেক্ষেত্রে অনেক সময় ঘুমপাড়ানি গুলিতে তাদের কাবু করা হয়। যদি বন্যপ্রাণীদের কাবু করতে ঘুমপাড়ানি গুলির ব্যবহার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে অনেকটা দূর থেকেও ব্যবহার করা যাবে টেলিস্কোপ লাগানো অত্যাধুনিক বন্দুক। প্রায় ১৮০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত এই বন্দুকের ব্যবহার করা যাবে। বন্যজন্তুদের কাবু করতে এই অত্যাধুনিক বন্দুকটির ব্যবহার বনকর্মীদের বিশেষ সুবিধা হবে। শীত মরশুমে ক্যামেরা ব্যবহারের সুফলও মিলছে হাতেনাতে।
বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাসের কথায়, 'ঘন কুয়াশার কারণে হাতির অবস্থান জানতে পারছিলাম না, বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছিল। সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই এই অত্যাধুনিক থার্মাল ইমেজিং স্ক্যানার প্রদান করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার ব্যবহার করে ঘন কুয়াশায় অনেকটা দূর থেকেও হাতির অবস্থান নজরে এসেছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জামগুলি পেয়ে কাজের যথেষ্ট সুবিধা হচ্ছে।'
পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, বনাঞ্চল সুরক্ষিত থাকলে মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের সংঘাত এবং লোকালয়ে বন্যপ্রাণীদের হানা কমবে। বন সুরক্ষার জন্য নজর দেওয়া দরকার এবং বনকর্মী নিয়োগ করা দরকার। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বন দফতর, ভালো-মন্দ সম্পূর্ণ ব্যবহার করার পরে বলা যাবে।
No comments:
Post a Comment