"যেখানে সুযোগ পাব, আমরা মারতে থাকব", ইরানে হামলার মাঝে ইসরায়েলের নতুন হুমকি
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ জানুয়ারি : গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ এখন অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এই সপ্তাহে, ইসরাইল লেবাননের অভ্যন্তরে একটি ড্রোন হামলায় হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরিকে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, বুধবার ইরানে প্রাক্তন জেনারেল কাসিম সুলেমানির কবরে দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ১০৫ জন নিহত হয়েছে, এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। এতে ইসরায়েলেরও ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হয়। এদিকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান বলেছেন, "সুযোগ পেলেই আমরা প্রতিশোধ নেব এবং তা নিচ্ছিও।'
এখন পর্যন্ত ইসরাইল এসব হামলার বিষয়ে কিছু জানায়নি বা দায় স্বীকার করেনি, তবে মোসাল প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার বক্তব্যও একই ইঙ্গিত দেয়। ডেভিড বার্নিয়া বলেছেন, 'মোসাদ এজেন্সি ৭ অক্টোবরের হামলাকারী খুনিদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য মুখিয়ে আছে।' তিনি বলেন যে, "সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে আমাদের সময় লাগবে, যেমনটি মিউনিখ গণহত্যার পরে হয়েছিল। তবে আমরা অবশ্যই সেই লোকদের স্পর্শ করব, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। আমরা আমাদের প্রতিশোধ নেব।"
বুধবার প্রাক্তন মোসাদ প্রধান জাভি জামিরের শেষকৃত্যের সময় ডেভিড বার্নিয়া এসব কথা বলেন। জাভি জামিরের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে ইসরাইল ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালায়। আরুরির খুনের ঠিক একদিন পরেই তাঁর এই বক্তব্য। অরোরি খুনের কারণে লেবাননে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহও নড়েচড়ে বসেছে। তিনি ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলের এই হামলা লেবাননের সার্বভৌমত্বের ওপরও হামলা। হিজবুল্লাহর এই হুমকির পর ইসরায়েলে হাই অ্যালার্ট রয়েছে।
ইসরাইলও একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, "আমাদের হামলা লেবাননে নয়, যারা আমাদের মানুষকে খুন করছে তাদের ওপর। আরুরি ছাড়াও এই হামলায় হামাসের আরও ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে।" ডেভিড বার্নিয়া বলেন, "প্রত্যেক আরবের বোঝা উচিৎ যে ৭ অক্টোবরের হামলায় তার সন্তানের ভূমিকা থাকলে তাকে কোলে মাথা রেখে কাঁদতে হতো।" উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment