OMG! বিশ্বের সবচেয়ে দামী পারফিউম তৈরী হয় প্রাণীর বমি দিয়ে
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ জানুয়ারি:
সবাই আমরা পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি নিজের সংগ্রহে রাখেন নানান ফুলের সুবাস শরীরে আলাদা একটাই স্নিগ্ধতার আবেশ বুলিয়ে দেয়।কিন্তু জানেন কি? বিশ্বের সবচেয়ে দামি পারফিউম তৈরি হয় তিমি মাছের বমি দিয়ে।
পৃথিবীর জল এবং স্থল দুই স্থানের সবচেয়ে বড় প্রাণী হল এই নীল তিমি মাছ। যা ডাইনোসর যুগের আগে থেকেই রাজ করছে এই বিশ্বে।অনেক প্রজাতির তিমি আছে যেগুলো একে অপরের থেকে আকারে আলাদা হয়। কিন্তু মানুষ যখন এদের সামনে আসে তখন মানুষকে এদের সামনে ইঁদুরের মতো ছোট দেখায়। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হল নীল তিমি,যা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী।
তিমির বমিকে বলা হয় অ্যাম্বারগ্রিস।তিমির বমি বাজারে বিক্রি হয় কোটি-কোটি টাকায়। বিজ্ঞানীরা তিমির বমিকে 'ভাসমান সোনা' বলে থাকেন । এটি তার শরীর থেকে নির্গত মল যা অন্ত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। তিমির বমি দেখতে মোমের শক্ত পাথরের মতো।একটি তিমি যখন কোনো প্রাণীকে খায় এবং তাদের হজম করতে পারে না,তখন সেগুলো এভাবে বেরিয়ে আসে।
মূলত সেফালোপড জাতীয় প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে,তিমি সেটিকে বমি করে দেয় এবং যার ফলে এই পদার্থটি মেলে। অ্যাম্বারগ্রিস ধূসর বা কালো রঙের একটি কঠিন পদার্থ। এটি পাথরের মতো শক্ত পদার্থ। তবে সব তিমি নয়,শুধু স্পার্ম হোয়েল এই অ্যাম্বারগ্রিসের উৎস।
তিমি মাছের অন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা এই পদার্থ থেকে গন্ধ থাকে। যা থেকে অনেক ধরনের পারফিউম তৈরি হয়।এই পারফিউমের সুগন্ধ থাকে অনেকক্ষণ।তাই সুগন্ধি তৈরির কোম্পানিগুলো এটি ব্যবহার করে। সুগন্ধি তৈরির কোম্পানিগুলো অনেক দামে কিনে নেয়,এমনকি এটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
No comments:
Post a Comment