মনমোহিত হাসি, স্বর্ণ আভূষণ! রাম মন্দিরে বিরাজমান হলেন রামলালা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ জানুয়ারি: অযোধ্যায় রামমন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রামলালা অযোধ্যায় বিরাজমান হয়েছেন। মন্দিরে বিরাজমান রামলালার প্রথম ভিডিওও সামনে এসেছে। এতে রামলালার মূর্তির ওপর একটি সুন্দর হাসি দেখা যায়। তাঁকে সোনার গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। মূর্তিটি ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাঁর সোনার তৈরি মুকুটটিও দেখা যাচ্ছে, যাতে অনেক ধরনের রত্নখচিত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দী বেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামলালার পূজা করেছেন। এনারা সকলেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার সময় গর্ভগৃহে উপস্থিত ছিলেন। রাম মন্দিরে রুপোর ছাতা নিয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদী, যা তিনি পুরোহিতের হাতে তুলে দেন। ভগবান রামের পায়ে পদ্মফুল অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হলুদ পোশাক পরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রাম মন্দিরে বর্তমান রামলালার মূর্তির উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন কর্ণাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। মূর্তিটি কালো পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যাতে দুধে অভিষেক করা হলে পাথরের গায়ে কোনো প্রভাব না পড়ে। অন্য কোনও পদার্থ মূর্তির ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। রামলালার মূর্তি তৈরি করতে শুধুমাত্র একটি পাথর ব্যবহার করা হয়েছে, অর্থাৎ একটি পাথর খোদাই করে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। রামলালার মূর্তির ওজন প্রায় ২০০ কেজি।
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরটি নগর শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট এবং উচ্চতা ১৬১ ফুট। রাম মন্দিরে ৩৯২টি স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে এবং এতে ৪৪টি দরজা রয়েছে। মন্দিরের স্তম্ভ ও দেওয়ালে হিন্দু দেব-দেবীর চিত্র বানানো হয়েছে। নিচে প্রধান গর্ভগৃহে ভগবান শ্রী রামের বাল্য রূপ অর্থাৎ শ্রী রামলালার মূর্তি রাখা হয়েছে।
মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বারটি পূর্ব দিকে অবস্থিত, যেখানে সিংহদ্বার দিয়ে ৩২টি সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া যায়। মন্দিরে মোট পাঁচটি মন্ডপ (হল) রয়েছে - নৃত্য মণ্ডপ, রং মণ্ডপ, সভা মণ্ডপ, প্রার্থনা মণ্ডপ এবং কীর্তন মণ্ডপ। মন্দিরের কাছে একটি ঐতিহাসিক কূপ (সীতা কুপ) রয়েছে, যা প্রাচীন যুগের। মন্দির পরিসরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে জটায়ুর মূর্তি সহ, কুবের টিলায় ভগবান শিবের প্রাচীন মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment