বাংলার গ্রামে রামের প্রভাব, উদ্বিগ্ন সিপিএম তৃণমূল
কলকাতা: অর্থনীতিতে এ যেন রামের সুমতি। ভক্তরা বলছেন আশীর্বাদ। উপার্জন আসছে ঘরে। ফিরে আসছে হারিয়ে যাওয়া লোক শিল্প। খুশির হাওয়া শিল্পীদের ঘরে। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনে বাংলার অর্থনীতির শ্রী বৃদ্ধি ঘটবে তা বাংলার কেউই ভাবেননি । তবে বাস্তবে ঘটছে।
ঘরে ফিরছে রাম লালা। রাজা রাম রাজ ধর্ম পালনের কারণে প্রজাদের কাছে বংশ পরম্পরায় পুজিত হতে হতে ভগবান হয়েছেন। পরে ইসলাম ধর্মের প্রবেশ এবং ইসলামীক শাসনকালে রাম মন্দির বাবরি মসজিদে রুপান্তরিত হয়। এই রুপান্তর মানতে না পেরে অপেক্ষা করতে থাকেন হিন্দুরা । শাসন শক্তিতে হওয়া রুপান্তরকে ফের পরিবর্তন হয় আদালতের নির্দেশে। এই বাস্তবায়নের কথা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। এভাবেই রাম মন্দির রাজনৈতিক ইস্যু হয়। এতে করে বাংলা সহ গোটা দেশে যারা রাম নাম উচ্চারণ করছেন তারা রাজনৈতিক তকমা পাচ্ছেন বিজেপির। রাজনীতির এই চাতুরী উপেক্ষা করে প্রভাব ফেলেছেন রাম চন্দ্র। ফিরে আসছে হারিয়ে যাওয়া বাংলার লোক পরম্পরা। যার একটি হল মুখোশ।
সারা বছর বিবাহ অন্নপ্রাশন সহ বিভিন্ন সামাজিক আনন্দ অনুষ্ঠানে মিকি মাউস গোপাল ভাড় বা চার্লি চ্যাপলিনের মত জীবন্ত মডেল কিংবা রবীন্দ্রনাথ নেতাজী স্বামী বিবেকানন্দ গান্ধীজী মাতঙ্গিনী হাজরা সাজতেন চাহিদা মতন তারা এখন ডাক পাচ্ছেন রাম সীতা এবং হনুমানের বেস ধরার । এতে বাড়তি আয়ের দিশা দেখছেন শিল্পীরা।
তবে হঠাৎ করে প্রচুর সংখ্যক অর্ডার আসার কারণে তারা এক প্রকার নাজেহাল, কারণ এই সময় তাদের মানানসই পোশাক এবং অভিজ্ঞ শিল্পীর ঘাটতি রয়েছে। তবে তারা উচ্ছ্বাসিত আগামীর কথা ভেবে। তারা আশাবাদী এখন থেকে রাম সীতা হনুমানের পুজো উপলক্ষে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই বেশে তাদের ডাক আসবে নিয়মিত ।
No comments:
Post a Comment