'গর্বের বিষয়', রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 25 January 2024

'গর্বের বিষয়', রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল


'গর্বের বিষয়', রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ জানুয়ারি: দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বলেছেন যে, অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমগ্র ভারত ও বিশ্বের জন্য গর্বের এবং আনন্দের বিষয়। একদিকে ভগবান শ্রী রামের ভক্তি করতে হবে অন্যদিকে তাঁর বাণীকে জীবনে গ্রহণ করতে হবে। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার ছত্রসাল স্টেডিয়ামে প্রজাতন্ত্র দিবস ২০২৪-এর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি প্রথমে পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে বড়সড় বক্তব্য দেন তিনি। তিনি বলেন, 'অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা গর্বের বিষয়। ভগবান রাম জাত-পাত বিশ্বাস করতেন না। তাঁর কাছ থেকে আমরা ত্যাগের শিক্ষা পাই। ভগবান রাম এঁটো বের খেয়েছিলেন।'


তিনি বলেন, 'আমরা সবাই জানি কিভাবে তার পিতার কথা রাখতে শ্রী রাম তাঁর রাজপাট ত্যাগ করে বনে চলে গিয়েছিলেন। যেখানে ভগবান রাম মাত্র একদিন পরেই অযোধ্যার রাজা হতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি বার্তা পান যে দশরথ জি ডাকছেন। মা কৈকেয়ী দুটো বর চেয়েছিলেন; প্রথমে রামকে ১৪ বছরের জন্য বনবাসে যেতে হবে এবং ভরতকে অযোধ্যার রাজা করতে হবে।'



'মাতা কৈকেয়ীর আদেশ সানন্দে মেনে নিতে তিনি এক মিনিটও নষ্ট করেননি। সমগ্র অযোধ্যা ভগবান রামের কাছে থাকলেও শ্রী রাম রাজ্য শাসনে আগ্রহী ছিলেন না। কোনও দুঃখ ছাড়াই দুই মিনিটের মধ্যে বনবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভরত এই কথা জানতে পেরে বনে গিয়ে ভগবান রামকে বলেন রাজ্যের ভার নিতে, কিন্তু তিনি ভরতকে ফিরিয়ে দেন।'


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমান সময়ে যখন দুই ভাই মারামারি করে, তারা বলে এই জমি আমার। ভগবান রাম জাতপাতের ভিত্তিতে বৈষম্য করতেন না। বনে এক শবরী মাতা ছিলেন, যিনি সমাজে অস্পৃশ্যতার দ্বারা নির্যাতিত ছিলেন। ভগবান রাম মাতা শবরীকে দর্শন দিতে গেলেন। তিনি মা শবরীর এঁটো বের খেয়েছেন।'


অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে সকলের সমান এবং ভালো চিকিৎসা পাওয়া উচিৎ। টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়া উচিৎ নয়। এ জন্য আমাদের সরকার মহল্লা ক্লিনিক ও পলি ক্লিনিক খুলেছে। সরকারি হাসপাতালের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। AAP সরকার সবাইকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং বিনামূল্যে জল সরবরাহ করছে। প্রবীণদের পেনশন দেওয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে হজযাত্রার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা‌ করার পর প্রবীণদের অযোধ্যায় যাওয়ার আবেদন অনেক বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করব যতটা সম্ভব মানুষকে অযোধ্যায় নিয়ে যেতে রামলালার দর্শন করতে।


এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, আমাদের দিল্লীতে আইনশৃঙ্খলা  আমাদের কাছে নেই, তবে আমাদের হাতে যা আছে আমরা করছি। বিশ্বের যে কোনও শহরের তুলনায় দিল্লীতে বেশি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। অন্ধকার এলাকায় স্ট্রিট লাইট বসানো হচ্ছে। বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা, আমরা তা অপসারণের চেষ্টা করেছি। কর্মসংস্থান মেলা ও জব পোর্টালের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ লাখ যুবদ্ে কর্মসংস্থান দিয়েছেন। মহল্লা ক্লিনিক, ফ্রি ডোর স্টেপ ডেলিভারি অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সরকার বিজনেস ব্লাস্টার প্রোগ্রাম শুরু করেছে। যুবকদের ব্যবসা করতে শেখানো হচ্ছে।


ভগবান শ্রী রাম সবাইকে সমান করেছেন। সেটা এই ধর্মেরই হোক আর সেই ধর্মেরই হোক। সে এই জাত হোক বা সেই জাত হোক। সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে। যারা তাদের কাজ করেন তাদের উচিৎ সম্পূর্ণ সততার সাথে করা। আমরা যদি ভগবান রামের দেখানো পথ অনুসরণ করি, তাহলে কোনও শক্তিই ভারতকে বিশ্বের এক নম্বর হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। আজকে আমাদের সরকারি স্কুলের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করলে সবাই বলবে তারা চাকরি গ্রহীতা নয়, চাকরিদাতা হবে।


এর পরে, দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভারতীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছেন এমন সমস্ত ভোটারদের জাতীয় ভোটার দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "ভোট দেওয়া শুধু আমাদের অধিকার নয়, দেশ ও গণতন্ত্রের প্রতিও আমাদের কর্তব্য। প্রতিটি ভোট দিয়ে, আমাদের প্রতিটি ভোটার আমাদের মহান গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।"



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad