শীতে যত্ন নিন আপনার ছোট্ট সোনার
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,২ জানুয়ারি: শীত ঋতু খুবই কঠোর।বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের জন্য এই ঋতু খুবই সমস্যার,কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় দুর্বল।তাদের অনাক্রম্যতা বিকাশের জন্য ৯ মাস সময় লাগে,তাই তারা খুব দ্রুত রোগের ঝুঁকিতে পড়ে।শীতের মরসুমে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুর পেটে ব্যথা,বমি ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়।এসব সমস্যা মারাত্মক রূপও নিতে পারে।আজ আমরা নবজাতক শিশুকে সুস্থ রাখার কিছু টিপস বলব,যা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখবে।
তেল মালিশ করুন -
নবজাতক শিশুর শরীর গরম রাখতে চাইলে তেল দিয়ে মালিশ করুন।এটি শিশুর পেশীকে শক্তিশালী করবে এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।তেল দিয়ে শিশুর শরীর ম্যাসাজ করলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। ম্যাসাজের জন্য সরিষা,নারকেল বা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিন -
শিশুকে স্পর্শ করার আগে আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।নোংরা হাতে শিশুকে একেবারেই স্পর্শ করবেন না।এতে তাদের চর্মরোগ ও অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।প্রতিদিন শিশুর পোশাক পরিবর্তন করুন।শিশুকে পরিচালনার আগে এবং পরে আপনার হাত সাবান এবং জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।হাঁচি দেওয়ার সময়ও শিশু থেকে দূরে থাকুন।বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে তাকে শিশু থেকে দূরে রাখুন।
শিশুকে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না -
শীতকালে ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।আপনি যদি তাদের শরীরকে ঠাণ্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করতে চান তবে চারপাশের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখুন।শিশুর জন্য ভালো পোশাক নির্বাচন করুন।শিশুদের পরিপূর্ণ পোশাক পরান।এতে তাদের শরীর অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং শিশু নার্ভাস বোধ করবে না। শিশুর বিছানায়ও নরম কাপড় এবং গরম বিছানা বিছিয়ে দিন।
স্তন্যপান করান -
নবজাতক শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল,তাই তাদের সংক্রমণ ও রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।শিশুটি ৬ মাস ধরে শুধুমাত্র বুকের দুধ পানের উপর নির্ভরশীল,তাই আপনার যত্ন নেওয়া উচিৎ যেন সে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পান করে। আপনার শিশুর স্তন্যপান সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে আপনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে না পারলে তাকে বাটি চামচ দিয়ে দুধ পান করান।
শিশুকে টিকা দিন -
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশুদের মধ্যে রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়,এমন পরিস্থিতিতে তাদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় টিকা দিন।টিকার মাধ্যমে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে।শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেয়াল রাখতে হবে মা'কেও সুস্থ থাকতে হবে।কারণ বুকের দুধ পান করানোর মাধ্যমে শিশু মায়ের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।মা দুর্বল হলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বাড়ে না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment