তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র! পুরনো-নতুন বিতর্কে মুখোমুখি মমতা-অভিষেক - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 2 January 2024

তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র! পুরনো-নতুন বিতর্কে মুখোমুখি মমতা-অভিষেক



তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র! পুরনো-নতুন বিতর্কে মুখোমুখি মমতা-অভিষেক


নিজস্ব প্রতিবেদন, ০২ জানুয়ারি : তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসে পুরনো নেতা বনাম নতুন নেতার বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।  দল গঠনের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত নেতারা পুরনো নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন, আর দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন।  সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের সমর্থকরা।  যদিও একদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে গিয়ে দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন, কিন্তু এই বিতর্ক এখনও থামছে না।



 দলীয় নেতাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত বিবৃতি আসছে।  দলের পুরনো নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী মনে করছেন এবং স্পষ্ট বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সর্বোচ্চ নেত্রী।  একইসঙ্গে, দলের তরুণ নেতারা লোকসভা নির্বাচনে পুরনো নেতাদের টিকিট দেওয়ার পক্ষে নন এবং এ নিয়ে লাগাতার কথাবার্তা চলছে।


 সময় যতই গড়াচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসে পুরনো-নতুনের বিরোধ ক্রমাগত বাড়ছে।  দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তা মেনে না নিলেও মঙ্গলবার একের পর এক নেতাদের বক্তব্য ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।


 

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে পারস্পরিক মতপার্থক্য সামনে এসেছিল, তবে পরে তাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে।  এরপর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধারাবাহিকভাবে একসঙ্গে দেখা গেলেও এখন আবার নতুন দলের নেতা ও পুরনো নেতাদের মধ্যে বিবাদের খবর পাওয়া যাচ্ছে।  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্যের পর থেকেই দলে বিতর্ক শুরু হয়।



কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু তথাকথিত সিনিয়র, কিছু মন্ত্রী অনেক পদে বসে আছেন।  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা যায় বহুবার।  বিজেপির দুর্ব্যবহারে আমরা দু-চারজন।  তারা গোল গোল কথা বলে সমস্যার সমাধান করে।  তিনি দলের কাছ থেকে সব পেয়েছেন।" লোকসভা নির্বাচনে সিনিয়র নেতাদের আবার প্রার্থী করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।  কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পর দলের সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে ক্রমাগত বক্তব্য আসছে, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।


 এদিকে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের মেয়র এবং দলের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিবৃতি দিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে সর্বোচ্চ এবং তাঁর কথাই শেষ কথা।  তার কথাকে সমর্থন করে শিলিগুড়ির মেয়র ও দলের নেতা গৌতম দেবও বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সবকিছু।  ভারতের রাজনীতিতে তার বিকল্প নেই।  তিনি সবার উপরে।  যতক্ষণ আমাদের শরীর ভালো থাকবে, ততক্ষণ আমরা নেতৃত্ব দেব।  তবেই তরুণরা এগিয়ে আসবে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad