আগুনে ঝলসে গিয়েছিলেন মা! মহুয়া রায়চৌধুরী মৃত্যুর পর কেমন আছে তার একমাত্র ছেলে?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ জানুয়ারি: মহুয়া রায়চৌধুরী, টলিউডের স্বর্ণযুগের শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম এক সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এই অভিনেত্রীর পরিণতি ছিল খুবই মর্মান্তিক। ছেলের জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে স্টোভ ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে আগুনে ঝলসে গিয়েছিলেন মহুয়া। এই দুর্ঘটনাতে মৃত্যু হয় তার। আর তার ছেলে গোলা? মায়ের মৃত্যুর পর কীভাবে বড় হয়েছে সে? মহুয়া রায়চৌধুরীর একমাত্র ছেলে এখন কোথায়?
মাত্র ৭ বছর বয়সে পাড়ার একটি জলসায় সুচিত্রা সেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের সামনে নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন মহুয়া। ছোট থেকেই নাচ এবং অভিনয়ের প্রতি তার খুব টান ছিল। এরপর তরুণ মজুমদারের নজরে পড়তেই তিনি হয়ে ওঠেন ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছবির নায়িকা। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছবির সাফল্যের পর ‘দাদার কীর্তি’তেও সুযোগ পেয়ে যান মহুয়া। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মহুয়া তার জীবনের ৯০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। তবে তিনি খুব কম বয়সেই বিয়ে করে নেন তার প্রেমিক তিলক চক্রবর্তীকে। বাড়ির অমতে এক প্রকার পালিয়ে গিয়েই বিয়ে করেছিলেন তারা।
মহুয়া রায়চৌধুরীর ছেলে তমাল চক্রবর্তী
মহুয়ার স্বামী তিলক চক্রবর্তীও শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন বাংলা ছবিতে। পরে তিনি একটি ব্যাঙ্কে চাকরি পান। এছাড়া তিনি খুব ভালো গান গাইতে পারতেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পর ১৯ বছর বয়সেই ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মহুয়া। মহুয়া এবং তিলকের একমাত্র ছেলের নাম তমাল চক্রবর্তী। যার ডাকনাম গোলা।
তবে বিয়ের পর থেকেই নাকি সাংসারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন মহুয়া। এত বড় মাপের একজন অভিনেত্রীও নিজের ব্যক্তিগত জীবনে সুখী ছিলেন না মোটেও। অশান্তির জেরে তিনি নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এর জন্য বেশ কয়েকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এমনকি তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এরপরই একদিন আসে সেই দুঃসংবাদ।
একদিন পার্টি থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরে ছেলের জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে ঝলসে যান মহুয়া। পরদিনই মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর আগে বারবার তিনি বলছিলেন, গোলাকে রেখে গেলাম তোমরা দেখো। মহুয়ার মৃত্যুর পর তার স্বামী তিলক চক্রবর্তী আর বিয়ে করেননি। তিনিই মানুষ করেছিলেন তাদের একমাত্র ছেলেকে। তবে তিলক চক্রবর্তীরও মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তাদের ছেলে তমাল বড় হয়ে হয়ে উঠেছে মিউজিক অ্যারেঞ্জার। কলকাতা এবং মুম্বাইজুড়ে কাজ করছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment