"আমি অবশ্যই অযোধ্যায় যাব, যে যা-ই করুক", রামমন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে হরভজন সিং
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ জানুয়ারি : অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন মত রয়েছে। এদিকে আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ হরভজন সিং বলেছেন, "যে দলই যান বা না যান না কেন, আমি অবশ্যই যাব।" রাম মন্দির 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানের জন্য কংগ্রেসের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে, প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, "এটা আমাদের সৌভাগ্য যে এই মন্দিরটি আমাদের সময়ে নির্মিত হচ্ছে, তাই আমাদের সকলের উচিৎ গিয়ে আশীর্বাদ নেওয়া। যে দলই যায় না কেন। আমি অবশ্যই যাব।"
এমনকি তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, "আমার রাম মন্দিরে যাওয়া নিয়ে যদি কারও কোনও সমস্যা হয়, তাহলে তারা যা খুশি তাই করুক। আমি অবশ্যই যাব।" হরভজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দেশবাসীকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
হরভজন বলেছেন, "২২ জানুয়ারি, আমি চাই যত বেশি মানুষ এই প্রোগ্রামে যোগ দিন। টিভির মাধ্যমে হোক বা সেখানে গিয়ে, মানুষের রামের আশীর্বাদ নেওয়া উচিৎ কারণ এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। ভগবান রাম সকলের এবং তাঁর জন্মস্থানে একটি মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। এটা একটা বড় কথা। আমি অবশ্যই অযোধ্যায় যাব। আমি খুব ধার্মিক মানুষ। আমি প্রতিটি মন্দির, মসজিদ এবং গুরুদ্বারে প্রার্থনা করি। আমি যখনই সুযোগ পাব অবশ্যই যাব।”
রাম মন্দির নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। তিনি তার একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে ২২ জানুয়ারির পরে তিনি তার পুরো পরিবার নিয়ে অযোধ্যায় যাবেন। তিনি আরও বলেন, "আমার বাবা-মাও অযোধ্যায় যেতে চান।" তিনি বলেন যে, "তিনি রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট থেকে একটি মাত্র চিঠি পেয়েছেন। নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জানুয়ারি আমন্ত্রণে মাত্র দু-একজনকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় আমি ২২ জানুয়ারির পরে আমার পুরো পরিবার নিয়ে অযোধ্যায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
No comments:
Post a Comment