পুরো বরফে ঢাকতে চলেছে গোটা পৃথিবী! ২০২৫ এই নেমে আসতে চলেছে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 21 February 2024

পুরো বরফে ঢাকতে চলেছে গোটা পৃথিবী! ২০২৫ এই নেমে আসতে চলেছে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি


পুরো বরফে ঢাকতে চলেছে গোটা পৃথিবী! ২০২৫ এই নেমে আসতে চলেছে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি!


প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, কলকাতা: হাতে আর মাত্র এক বছর! ২০২৫ এই নেমে আসতে চলেছে ভয়ানক পরিস্থিতি। ফের পুরু বরফে ঢাকতে চলেছে গোটা পৃথিবী। সেই সঙ্গে সমুদ্রে ডুবে যাবে কলকাতা সহ একাধিক শহর। আর কি কি ভয়াবহ তথ্য উঠে এল গবেষণাপত্রে? জানলে শিরদাঁড়া দিয়ে বেয়ে পড়বে হিংস্রোত।


সারা বিশ্ব এখন উষ্ণায়নের চিন্তায় মগ্ন। কিভাবে এই পৃথিবীকে উষ্ণায়নের হাত থেকে বাঁচানো যায় তা নিয়ে চলছে নানান গবেষণা। এবার এর বাইরেও আরেকটি সমস্যার সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি খুব শীঘ্রই আবারও ফিরছে আইস এজ। এক্ষেত্রে সমুদ্রের সিংহভাগ জলে জমে বরফ হয়ে যাবে। পৃথিবীর বহু অংশ ঢেকে যাবে বরফের গোটা আস্তরণে। আর এই কারণেই বিপর্যস্ত হতে চলেছে জনজীবন। আর এর থেকে  ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবগুলো। সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে দ্রুত হারে হিমবাহ গলনের ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে গলফ স্ট্রিম বা উপসাগরীয় স্রোত। আর এই স্রোত বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই উত্তর গোলার্ধের একটা বড় অংশে নেমে আসবে তুষার স্রোত। মূলত উপসাগরীয় স্রোত তৈরি হয় পশ্চিম উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে। মেক্সিকো উপসাগর থেকে এই উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত ফ্লোরিডার উপকূল বরাবর উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক জোনে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহ উত্তরে উষ্ণ নোনা জল বহন করে আনে। ফলে এটি গ্রীষ্ম মন্ডলীও এলাকাগুলোতে তাপ বয়ে আনে। সেই সাথে পথে যে এলাকাগুলো পড়ে তার আবহাওয়াকেও প্রভাবিত করে। কাজেই এই স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গোলার্ধের এক বিস্তীর্ণ অংশে ভয়ংকর শীত নেমে আসবে। 


কিন্তু এখন কেন আবার ফিরছে আইস এজ? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এর মূল কারণ হলো গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি। যার ফলে গলছে হিমবাহ। এশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ এমনটি ভারতে বর্ষায় বৃষ্টির জন্য দায়ী গলফ স্ট্রিম ওয়াটার কারেন্ট। কিন্তু বর্তমানে ওই ওয়াটার কারেন্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে। আগামী ১০০০ বছরে এই ওয়াটার কারেন্ট পুরোই ধ্বংস হয়ে যাবে। যার সূচনা ২০২৫ থেকেই হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে যাবে। ফলে উত্তর গোলার্ধের বহু অংশে শুরু হবে আইস এজ। বিজ্ঞানীদের মতে গলফ স্ট্রিম থেমে গেলে বরফের ঝড় হবে, বৃষ্টি হবে না। যার ফলে ফসলের ফলন কমে যাবে। দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিও দেখা দিতে পারে। উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে যার ফলে শহরগুলো জলে ডুবে যাবে। অনুমান ২০২৫ থেকে ২০৯৫ সালের মধ্যে গলফ স্ট্রিম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। যদি গ্লোবাল কার্বন নিঃসরণ না কমানো হয় তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে আসতে পারে এই আইস এজ। এই স্রোত যদি বন্ধ হয়ে যায় বা এর গতি যদি কমে যায় তাহলে মানব সভ্যতাকে আরও চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হবে। এর ফলে কৃষি এবং জনস্বাস্থ্যে ধ্বংসাত্মক পরিণতি নেমে আসতে পারে। এরমধ্যে কলকাতা শহর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad