অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারে বেনিয়ম! পচা ডিম-শুকনো ভাত রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 12 February 2024

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারে বেনিয়ম! পচা ডিম-শুকনো ভাত রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ

 


অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারে বেনিয়ম! পচা ডিম-শুকনো ভাত রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ 



নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১২ ফেব্রুয়ারি: খাবারে বেনিয়মের অভিযোগ, পচা ডিম এবং শুকনো ভাত রাস্তায় ফেলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ অভিভাবকদের, ফের সামনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা, খোলা আকাশের নিচেই চলছে সেন্টার, পদক্ষেপ করার আশ্বাস সিডিপিওর। 

 

ফের সামনে এল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা। শুকনো ভাত, পচা ডিম রাস্তায় ফেলে এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভ অভিভাবকদের।অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই খাবারে বেনিয়ম হচ্ছে এই কেন্দ্রে। নিয়ম মেনে তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হয় না খাবার। অনেক দিন দেওয়া হচ্ছে শুধু শুকনো ভাত। যেদিন ডিম বা সবজি দেওয়া হচ্ছে তা নিম্নমানের। এমনকি পচা সবজি এবং ডিম দেওয়ার অভিযোগ। ওই কেন্দ্রে রান্নাও হয় না। নিজের বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। খোলা আকাশের নিচেই চলছে সেন্টার। বারবার অভিভাবকরা অভিযোগ করলেও তিনি কর্ণপাত করেন নি। সোমবারও নিম্নমানের খাবার দিতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। ঘটনা মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের।


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিয়ালডাঙ্গি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কার্যত বেহাল দশায় ধুঁকছে। ঐ সেন্টারে নেই কোনও ভবন। খোলা আকাশের নিচেই চলে সেন্টার। সাথে অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে না খাবার। বেশির ভাগ দিন দেওয়া হয় শুকনো ভাত আর পচা ডিম। খিচুড়ি বা সবজি দেওয়া হলেও তা নিম্নমানের। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আকলেমা খাতুন কে অভিযোগ করলে তিনি কর্ণপাত করেন না। উল্টে দুর্ব্যবহার করেন অভিভাবকদের সঙ্গে। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কোনও ভবন না থাকায় বাড়ি থেকেই রান্না করে আনেন রাঁধুনি। সোমবার পুনরায় এই সেন্টারে শিশুদের শুধু শুকনো ভাত এবং ডিম দেওয়া হয়। 


অভিভাবকদের অভিযোগ, সেই ডিমও পচা। তারপরেই কর্মী আকলেমা খাতুনকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। পরবর্তীতে রাস্তায় শুকনো ভাত এবং ডিম ফেলে চলতে থাকে বিক্ষোভ। প্রায় ঘন্টাখানেক বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকদের দাবী, নিয়ম অনুযায়ী সঠিক খাবার দিতে হবে। নিম্নমানের এই খাবার খেলে শিশু এবং প্রসূতিরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। 


জানা গেছে স্থানীয় এক বাসিন্দার জমিতে পাঁচ বছর আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জমিদাতা চাকরি পাননি। তাই পরবর্তীতে তিনি সেই ভবন তালা বন্ধ করে দেন। তারপর থেকেই খোলা আকাশের নিচে চলছে সেন্টার। 


এদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন কর্মী অকলেমা খাতুন। সাথে তাঁর সাফাই, এদিন রাঁধুনি অসুস্থ থাকায় শুধু শুকনো ভাত এবং ডিম দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সিডিপিও আব্দুল সাত্তার বলেন, 'সুপারভাইজারকে পরিদর্শন করতে পাঠিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad