নাবালিকাকে নিয়ে দে-হ ব্যবসার অভিযোগ! গ্ৰেফতার বিজেপি নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ২২ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে নারী নিগ্রহ নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, তখন বিজেপির হাওড়া সদরের কিষাণ মোর্চার সম্পাদক এবং শ্রমিক নেতা হোটেলে নাবালিকাকে নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার। ধৃত বিজেপি কিষাণ মোর্চার নেতার নাম সব্যসাচী ঘোষ (৫০)। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে আছেন ওই হোটেলের মালিক এবং আন্দুলের বাসিন্দা সব্যসাচী ঘোষ। তিনি হাওড়া সদর বিজেপি কিষাণ মোর্চার সম্পাদক এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এবং তার দলবল দীর্ঘদিন ওই হোটেলে নাবালিকা মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালাতেন। গতকাল গ্রেফতারের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে ২ নাবালিকা ও ৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইমমোরাল ট্রাফিক অ্যাক্ট এবং পকসো আইনে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। মহিলাদের উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে লিলুয়া হোমে এবং ২ নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতের পকসো এজলাসে তোলা হয়।
এই গ্রেফতার নিয়ে হইচই পড়ে যায় জেলা রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, 'কিছুদিন আগে গাঁজা পাচারের অভিযোগে সাঁকরাইল থেকে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিজেপি নেতারা নানা ধরণের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।' তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান।
এদিকে বিজেপির হাওড়া সদরের সম্পাদক ওমপ্রকাশ সিং জানিয়েছেন, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে। সব্যসাচী সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখুক পুলিশ। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হয় তবে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং দলও এ ব্যাপারে আলাদা করে তদন্ত করবে। তবে বিরোধীদলের কর্মীদের পুলিশ হামেশাই মিথ্যে মামলায় জড়াচ্ছে। এটা ঠিক নয়।'
No comments:
Post a Comment