সন্দেশখালিতে শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ! সুকান্তকে আটক করল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : শাহজাহান শেখকে গ্রেপ্তারের দাবীতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভরত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা এবং মহিলাদের যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেপ্তারের দাবীতে সন্দেশখালি থানার বাইরে বসেছিলেন তারা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তিনি। সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ সতর্ক করেছিল। ঠিক তখনই থানার ভিতর থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী বেরিয়ে আসে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুকান্ত সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের থানার সামনে থেকে ধামাখালি ঘাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তার তুমুল ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলতে থাকেন, 'দেখুন, পুলিশ কীভাবে আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে, টেনে নিয়ে যাচ্ছে। দেখুন কিভাবে তারা গ্রেফতার করছে।' এসবের মধ্যেই পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে ইলেকট্রিক রিকশায় বসিয়ে ধামাখালি ঘাটে নিয়ে যায়। মোতায়েন করা হয়েছে ভারী পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স এবং আরএএফ।
পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে ধামাখালি ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে বঙ্গ বিজেপি সভাপতিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সুকান্ত এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে পুলিশ কিছু চেষ্টা করেছিল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “একজন তৃণমূল নেতা আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে পারেন না। আমাকে যেভাবে টেনে নিয়ে গেছে। এটা পুলিশ করতে পারে। একমাত্র বিরোধী দল বিজেপিই পারে এমন নৃশংসতা করতে। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের এই তৎপরতা দেখা যায়নি।" সুকান্তের দাবী, লঞ্চের সময় পিআর বন্ডে সই করে প্রথমে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে জামিন দেওয়া হয়।
প্রায় আট দিন আগে সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালি যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বুধবার তিনি সন্দেশখালিতে ফিরে আসেন। প্রথমে তিনি বসিরহাট মহকুমায় যান। সন্দেশখালি মামলায় আটক বিজেপি কর্মীদের সেখানে রাখা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন।
No comments:
Post a Comment