কৃষক আন্দোলন: সড়কের পর রেল ট্র্যাকে বিক্ষোভকারীরা, ক্ষতিগ্রস্ত বহু রেলপথ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ ফেব্রুয়ারি : ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) এবং আরও অনেক দাবীতে আবার রাস্তায় নেমে এসেছে অনেক কৃষক সংগঠন। ২০২১ সালের মতো এ বছরও কৃষকরা ক্ষোভে। বুধবার শম্ভু সীমান্তে কৃষক ও নিরাপত্তা বাহিনীর দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করতে ড্রোনের সাহায্যে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। আন্দোলনের কারণে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন চক জাম ঘোষণা করেছে। এর জেরে আজ রেলপথে বিক্ষোভ শুরু করেছে কৃষক সংগঠনগুলো।
শম্ভু সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাজপুরা রেলস্টেশনে রেল রোকো অভিযানের ঘোষণা দেয় কৃষক সংগঠন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কৃষক রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখান। আজ দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রেল রোকো অভিযান শুরু করেছে কৃষকরা। পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়। বিক্ষোভের কারণে অমৃতসর-ফতেহগড় সাহিব রুট সহ আরও অনেক ট্রেন রুট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোগার ঘালকালা রেলস্টেশনে নারী ও পুরুষ কৃষকরাও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ করে।
দিল্লী থেকে রাজপুর বা অন্য কোনও রুট থেকে ট্রেন আসলে কৃষকরা তা থামিয়ে দেবেন। রেললাইন ছাড়াও প্ল্যাটফর্মে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। দিল্লী-হরিয়ানার প্রধান রেলপথে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। অর্থাৎ, একদিকে দিল্লী-এনসিআর সহ হরিয়ানার অনেক সড়ক পথে কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন, এখন তারা রেলপথে পৌঁছেছেন। পাঞ্জাবের রাজপুরা রেলওয়ে স্টেশনে, ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (উগ্রাহন) রেলপথে বসে বিক্ষোভ করছে।
চক জামের অধীনে অনেক টোল প্লাজায় কৃষকরাও বিক্ষোভ দেখান। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "আমরা যুক্ত কিষাণ মোর্চা অরাজনৈতিক কৃষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।" একই সঙ্গে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের কৃষকরা বলেন, সরকার পাঞ্জাব-হরিয়ানা ও শম্ভু সীমান্তে কৃষকদের ওপর অত্যাচার করছে। তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর রাবার বুলেট ছুড়ছেন এবং লাঠিচার্জও করছেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষকরা ট্রেন থামানোর অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment