ভুটান সীমান্তে ২৩৫টি বাড়ি নির্মাণ! চীনের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২০ ফেব্রুয়ারি : চীনের কৌশল কারও কাছে গোপন নয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি সে প্রতিনিয়ত কুদৃষ্টি রাখছে। এবার ড্রাগনের জালে আটকে পড়া প্রতিবেশী দেশটির নাম ভুটান। ভুটান সীমান্তে গ্রাম তৈরি করছে চীন। এখানে চীন দুই শতাধিক বাড়ি তৈরি করেছে। চীন দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির নামে এর সম্প্রসারণ করছে। স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে চীনের এই ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ভুটানের সীমান্তে ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে চীন। ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকার একটি গ্রামে বসতি স্থাপন করছেন তিনি। এসব গ্রামে তিব্বতের লোকজন বসতি স্থাপন করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ১৮ জন তিব্বতি মানুষকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। আগে মাত্র ২৩৫ জনকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল। যেখানে ২৩৫ জনের বসতি ছিল, ২০০ মানুষ ইতিমধ্যে ৭০টি বাড়িতে বসবাস করছে।
চীন দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির অধীনে গ্রাম ও বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে। এরপর ধীরে ধীরে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটিকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশে পরিণত করে চীন। ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট ইমেজে ৩টি গ্রামের পরিচয় পাওয়া গেছে। চীন Gyalphug এবং Tamlung দুই ক্ষেত্রেই একই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। চীন তামলুংয়ের গায়ালফুগের গ্রামের দ্রুত উন্নয়ন করছে।
২০০৭ সালে গায়ালফুগে দুটি বাড়ি ছিল, ২০১৬-১৮ সাল নাগাদ শতাধিক বাড়ি তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আধিকারিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে দ্রুত সম্প্রসারণ একটি দারিদ্র্য বিমোচন পরিকল্পনা হিসাবে শুরু হয়েছিল, তবে এটি দ্বৈত জাতীয় নিরাপত্তা ভূমিকা পালন করে। রবিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, দুই দেশকে আলাদা করে পাহাড়ি এলাকায় অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment