বেছে নিন আপনার পছন্দের কিশমিশ
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৭ ফেব্রুয়ারি: অনেক ধরনের কিশমিশ রয়েছে এবং এর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।প্রতিটি কিশমিশ খাওয়ার কারণ আলাদা। উদাহরণস্বরূপ,আয়রনের ঘাটতি হলে আপনি কিছু খেতে পারেন,আবার কিছু পেট সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে খেতে পারেন।এছাড়া ফাইবার এবং কিছু ভিন্ন ভিটামিনের কারণে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেতে পারেন।চলুন জেনে নেই কিশমিশের প্রকারভেদ এবং কোনটি কতটা স্বাস্থ্যকর।
কালো কিশমিশ -
কালো কিশমিশ হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরণের কিশমিশ যা সাধারণত বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।এটি আঙ্গুর থেকে প্রস্তুত করা হয়।শুকিয়ে গেলে এর রং গাঢ় হয়ে যায়।এটি খেলে -
চুল পড়ে না।
অন্ত্র পরিষ্কার করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
সবুজ কিশমিশ -
সবুজ কিশমিশ পাতলা কিন্তু আকারে লম্বা এবং সাধারণত গাঢ় সবুজ রঙের হয়।এটি রসালো,কোমল এবং ফাইবার ও পুষ্টি সমৃদ্ধ।এটি খাওয়া -
হার্টের জন্য ভালো।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে।
হজমে সাহায্য করে।
লাল কিশমিশ -
লাল কিশমিশ হল সবচেয়ে সুস্বাদু ধরণের কিশমিশ যা লাল আঙ্গুর থেকে পাওয়া যায়।বীজহীন লাল আঙ্গুর থেকে এটি আহরণ করা হয়।এটি আকারে বড়,মোটা এবং গাঢ় রঙের হয়।এটি -
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
দাঁতের জন্য ভালো।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
সুলতানা বা সোনালি কিশমিশ -
সুলতানা কিশমিশের নামকরণ করা হয়েছে তুর্কি সবুজ আঙ্গুরের নামানুসারে যা বিশেষভাবে থম্পসন বীজহীন আঙ্গুর থেকে তৈরি করা হয়েছে।কিশমিশের তুলনায় এদের রং হালকা এবং আকার ছোট।এটি -
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রদাহ কমায়।
হজমে সাহায্য করে।
ব্ল্যাক কারেন্ট কিশমিশ -
ব্ল্যাক কারেন্ট হল এক ধরনের কিশমিশ যা খুব মিষ্টি নয় এবং স্বাদে টার্টের মতো।এটি আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট।এটি ব্ল্যাক করিন্থ আঙ্গুর থেকে আসে যা বীজহীন এবং গাঢ় রঙের।এটি খাওয়ার মাধ্যমে -
গলা ব্যথা প্রশমিত হয়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
রক্তচাপ কমে।
মুনাক্কা -
মুনাক্কা মূলত শুকনো আঙ্গুর নিয়ে গঠিত যা কিশমিশের চেয়ে আকারে বড়।এর ফলের ভিতরে একটি বীজ থাকে।মুনাক্কা স্বাভাবিকভাবেই মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।এটি -
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।
হাড় মজবুত করে।
ওজন বাড়ায়।
আপনি এই অনেক ধরনের কিশমিশের থেকে আপনার পছন্দের কিশমিশ চয়ন করতে পারেন।এগুলো খনিজ, ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে,আয়রন বাড়ায়,হাড় শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে।সুতরাং,আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী তাদের চয়ন করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment