পেইন্ট কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! মৃত ১১, ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডের ২২টি গাড়ি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 16 February 2024

পেইন্ট কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! মৃত ১১, ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডের ২২টি গাড়ি


 পেইন্ট কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! মৃত ১১, ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডের ২২টি গাড়ি



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারি : পেইন্ট কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। আগুনে পুড়ে মৃত ১১। দুর্ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দিল্লীর আলিপুর এলাকার একটি পেইন্ট কারখানার। প্রাথমিকভাবে ফায়ার ব্রিগেডের দল কারখানা থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে।  আগুন নেভানোর পর কারখানার ভেতরে তল্লাশি চালানো হলে আরও চারজনের দগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়।  এছাড়া কারখানাটি ঘন এলাকায় হওয়ায় ২২টি গাড়ি ও ৫টি দোকানও আগুনে পুড়ে যায়।  বর্তমানে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের দল আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত।



 ঘটনাস্থলে উপস্থিত থানা পুলিশ জানায়, ফায়ার ব্রিগেডের ২২টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  দুর্ঘটনায় ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।  তাদের সবার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।  শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।  নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত হাউজে পাঠানো হয়েছে।


 

 পুলিশ জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিপুর এলাকায় একটি পেইন্ট কারখানায় আগুন লেগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।  খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেওয়া হয়।  ফায়ার ব্রিগেডের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।  আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার ব্রিগেডের দল ভেতরে গিয়ে তদন্ত করলে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।


 সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  এরপর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে ফায়ার ব্রিগেডের দল কারখানার ভেতরে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়।  এ সময় আরও দগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গেছে।  মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।



ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার ব্রিগেড দল জানায়, আগুন খুবই ভয়াবহ ছিল।  এটি ২২টি ট্যাঙ্কারের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।  কারখানার আশেপাশে কিছু বাড়িও ছিল, যেখান থেকে লোকজনকে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।  ফায়ার ব্রিগেড টিম জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আগুনের খবর পাওয়া যায়।  জানা গিয়েছে, দয়ালপুর আলিপুরের এইচ ব্লকে রংয়ের কারখানায় আগুন লেগেছে।


 

 প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে ৮টি দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হলেও আগুন আরও ছড়িয়ে পড়লে ২২টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।  তাৎক্ষণিকভাবে আশেপাশের বাড়িগুলো খালি করে অন্য বাড়ির ছাদে উঠে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।  প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  ২২টি গাড়ি ও ৫টি দোকানও আগুনে পুড়ে গেছে।  আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad