বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে করবেন না কাজ
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৬ ফেব্রুয়ারি: বেশি কাজের চাপের কারণে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন।তারা ভাবেন হয়তো এভাবে তারা তাদের কাজ আরও ভালোভাবে করতে পারবে।কিন্তু যদি আমরা শরীরের কথা বলি,তাহলে তারা নিজেদের জন্য রোগকে আমন্ত্রণ জানায়।আসলে এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ফলে শরীরে খিঁচুনি আসে।শুরুতে এই কঠোরতা কেবল ব্যথার অনুভূতি দেয়।কিন্তু ভবিষ্যতে টাইপ২ ডায়াবেটিস,হৃদরোগ এবং অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।আপনার যদি এমন অভ্যাস থাকে তবে সময়মতো পরিবর্তন করুন।এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে -
এভাবে শরীর যথেষ্ট সক্রিয় না থাকার কারণে হৃদপিণ্ডের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি -
এক জায়গায় অনেক ঘণ্টা বসে থাকলে শরীরের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে।ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যায়।
অলসতা বৃদ্ধি পায় -
এক জায়গায় বসে থাকলে অলসতা বাড়ে ও শরীর অলস হয়ে যায়।এমন অবস্থায় কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে।সেই সঙ্গে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
চোখের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে -
আপনি যদি ঘন্টার পর ঘন্টা এক জায়গায় বসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন,তাহলে তা আপনার চোখের উপর গভীর ও খারাপ প্রভাব ফেলবে।এর ফলে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়া এবং অন্যান্য সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে।
শরীরের দৃঢ়তা -
এক জায়গায় অনেক ঘণ্টা বসে এভাবে কাজ করলে শরীরে শক্ত ভাব দেখা দিতে পারে।এমন অবস্থায় হাড় ও পেশীতেও দুর্বলতা অনুভূত হয়।
নিজেকে এভাবে রক্ষা করুন -
কাজের মাঝে প্রতি ঘণ্টায় ১৫ মিনিট বিরতি নিন।
চেয়ারে বসে ঘাড়, হাত ও পা নাড়াচাড়া করে ৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।
আপনার চোখকে বিশ্রাম দিতে ১৫ মিনিটের জন্য একটি ঘুম নিন।
কাউকে ছোট ছোট জিনিস দিতে বলার পরিবর্তে নিজে নিন। এতে আপনার শরীরের নড়াচড়া হবে।
প্রতি ২ ঘন্টায় কিছু না কিছু খান।
সময়ে সময়ে জল পান করতে থাকুন।
পুষ্টিকর খাবার খান।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment