ক্রমাগত হওয়া হাঁচি প্রতিরোধের উপায়
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারি:
কমবেশি আমরা সবাই হাঁচি দেই।সর্দি থেকে শুরু করে ধুলোবালি বা অ্যালার্জির কারণেই সাধারণত হাঁচি বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যালার্জিতে যারা ভোগেন,তারা নির্দিষ্ট কোনো অ্যালাজেনের সংস্পর্শে এলেই একনাগাড়ে হাঁচি হতে থাকে। একের পর এক হাঁচি দিতে গিয়ে এ কারণে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিন্তু এমনটি কেন হয়?
হাঁচি হল একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া,যা নাকের প্রদাহ বা জ্বালা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। যখনই বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকা পদার্থ,যেমন ময়লা,পরাগ,ধোঁয়া বা ধুলাবালি নাকে প্রবেশ করে তখনই নাকের সংবেদনশীল আস্তরণে অস্বস্তি বা শুরু হয় সুড়সুড়ি।আর এ কারণে সৃষ্টি হয় হাঁচির।
হাঁচি হলে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার হয়। নাক দিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু বা পদার্থ ঢুকলেই শরীরের প্রাথমিক প্রতিরক্ষা হিসেবে হাঁচি হয়। যার ফলে ক্ষতিকর ওই পদার্থ নাক থেকে বেরিয়ে আসে।
যদিও বা এমন ক্ষেত্রে হাঁচি ২-৩ বার হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কোনো সময় লাগাতার হাঁচি হয়েই থাকে,যার ফলে ব্যক্তি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট পান।
আপনার এরকম হলে প্রথমে সনাক্ত করা দরকার কোন সময় আপনার হাঁচি বেশি হয়। যেমন-ময়লা,ধুলা-বালি,ফুলের পরাগ,পোষা প্রাণীকে স্পর্শ করলে,উজ্জ্বল আলো, সুগন্ধি,মসলাদার খাবার,কালোমরিচ কিংবা সাধারণ সর্দি।
আপনারও যদি এসব কারণে ক্রমাগত হাঁচি হয় ও না থামে তাহলে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন।
১)আলোর দিকে তাকাবেন না:
হঠাৎ উজ্জ্বল আলোর সংস্পর্শে আসলে অনেকেরই হাঁচি হতে পারে।সূর্যের আলোতেই বেশিরভাগ সময় এমনটি হয়।প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোক এ ধরনের অ্যালার্জিতে ভুগে থাকেন। এজন্য সরাসরি কখনো আলোর দিকে তাকাবেন না।
২)ভিটামিন সি গ্রহণ করুন:
একনাগাড়ে হাঁচি হলে ভিটামিন সি'জাতীয় খাবার বা এর গন্ধ নাকে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এজন্য কমলা কিংবা লেবু জাতীয় কিছু ফল নিন। এতে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
৩)মধু:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে,মধু সর্দি ও ফ্লুর কারণে হওয়া হাঁচি প্রতিরোধে সহায়তা করে।এমনকি অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও মধু একটি আদর্শ বিকল্প।এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এসব ঘরোয়া উপায়ে যদি হাঁচি বন্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment