চেয়ার হারাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী সুখু, বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারি: হিমাচল প্রদেশে দেখা যেতে পারে বড়সড় রাজনৈতিক উত্থান। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার হারাতে হতে পারে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এ বিষয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যে ছয় বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক ফিরে না এলে স্পিকার তাদের সদস্যপদও বাতিল করতে পারেন।
হিমাচলের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, বিরোধী দলের নেতা এবং সিনিয়র বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর বলেছেন যে, 'কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। আমাদের বিধায়ক দলের সভা নিয়মিতভাবে চলতে থাকবে।' তিনি বলেন, 'স্পিকারকে বিভাজনের অনুমতি দিতে হবে। মার্শালের মাধ্যমে বিধায়কদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়। আমরা এই ঘটনার তথ্য জানাতে রাজভবনে যাচ্ছি।'
প্রকৃতপক্ষে, রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি হিমাচল প্রদেশের একমাত্র আসন জিতেছে। আশ্চর্যের বিষয় হল হিমাচলের ক্ষমতায় কংগ্রেস। হর্ষ মহাজন বিজেপির পক্ষ থেকে ময়দানে ছিলেন এবং কংগ্রেস অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করেছিল। মনে করা হচ্ছিল কংগ্রেসের সংখ্যাগত শক্তির কারণে অভিষেক মনু সিংভির জয় নিশ্চিত। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে রাজ্যসভার আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী।
রাজ্যসভা নির্বাচনের সময়, উভয় প্রার্থীই ৩৪-৩৪ ভোট পেয়েছিলেন, তারপরে হর্ষ মহাজনকে ড্রয়ের মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যে, ছয় কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। কারণ ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক রয়েছে। রাজ্যে বিজেপির ২৫ জন বিধায়ক এবং তিনজন বিধায়ক স্বতন্ত্র। এভাবে নির্দল ও বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা যোগ করা হলে তা হবে ২৮।
হর্ষ মহাজন ৩৪ ভোট পেয়েছেন, যার মানে নির্দলীরা বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিলেও তিনি কংগ্রেসের ছয়জন বিধায়কের ভোট পেয়েছেন। এভাবেই আলোচনা শুরু হয় রাজ্যের বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ। এটাও বলা হয়েছিল যে, বিজেপি এখন সুখবিন্দর সিং সুখুর ১৪ মাস পুরনো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে।
No comments:
Post a Comment