শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কেও ক্লান্তি অনুভব করেন? ৬টি উপায়ে ব্রেন হবে রিলাক্স
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি: আজকের ব্যস্ত জীবনে শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্ক একটা না একটা জিনিসের দিকে ছুটতে থাকে এবং এর ফলে অনেক সময় আমাদের মস্তিষ্কও খুব ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে। অনেক গবেষণায় এটা প্রকাশ পেয়েছে যে অনেক কারণে মস্তিষ্কের বিশ্রাম প্রয়োজন।
মস্তিষ্কে ক্রমাগত চিন্তা আসা এবং একটি বা অন্য বিষয়ে চিন্তা করা মানসিক ক্লান্তিও বাড়তে পারে। একটি কম্পিউটারও ২৪×৭ ডেটা প্রক্রিয়া করতে পারে না এবং ক্র্যাশ হয়ে যায়, আর এটি আমাদের মস্তিষ্ক যার আমরা কথা বলছি। এটিরও সময়ে সময়ে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।
৬টি উপায়ে মস্তিষ্ক রিফ্রেশ করুন
ভালো ঘুম- ভালো ঘুম মস্তিষ্ক শিথিল করার সেরা ওষুধ হিসেবে বিবেচিত হয়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। এর চেয়ে কম ঘুমালে হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ ও বিষণ্নতা হতে পারে।
ব্যায়াম - ওয়েবএমডি অনুসারে, প্রতিদিনের ওয়ার্কআউট শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও দারুণ উপকারী। এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করতে সাহায্য করে। ওয়ার্কআউটের সময় মস্তিষ্কও ব্রেক পায়।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস - মস্তিষ্ক শিথিল ও সতেজ রাখতে সঠিক খাবার খাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতেও সাহায্য করে। শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ।
মাইন্ডফুল ব্রেক - মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য, সময়ে সময়ে বুদ্ধিমান ব্রেক দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কাজের সময় ছোট বিরতি দেওয়াও উপকারী। এতে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং তারপর একই সতেজতা নিয়ে আবার কাজ শুরু করা যায়।
ডিজিটাল ডিটক্স - মস্তিষ্ককে শিথিল করার জন্য ডিজিটাল ডিটক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল দিনের অনেক ঘন্টা মোবাইল, টিভি ও ল্যাপটপে কাটে, এমন পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, দিনের কিছু সময় এই জিনিসগুলি থেকে দূরে থাকুন এবং আপনার মস্তিষ্ককে শিথিল হওয়ার সুযোগ দিন।
সামাজিক মিথঃস্ক্রিয়া - আপনি যদি একই কাজ করেন বা একই জীবনযাপন করেন তবে আপনার মস্তিষ্ক দ্রুত ক্লান্ত হতে শুরু করে। সামাজিক মিথঃস্ক্রিয়া বাড়ানো মস্তিষ্ককে সতেজ করার একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং যখনই আপনি সময় পান তাদের সাথে দেখা করুন। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতেও সাহায্য করবে।
No comments:
Post a Comment