১৩ বছরের পাত্র-পাত্রীর দাবি, বিয়ে না দিলে পড়াশোনাই করবে না
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, কলকাতা: বিয়ে না দিলে পড়াশোনাই করবে না, এমনই দাবি বছর ১৩র কিশোর কিশোরীর। বাধ্য হয়ে দাবি মানতেই হল পরিবারের। জানেন কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা? ভাবতে পারছেন ১৩ বছরের কিশোর কিশোরীর বায়না বিয়ে না দিলে পড়াশোনা করবেন না। বায়নার মাত্রা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, শেষে মানতে বাধ্য হয় পরিবার। পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে করার গল্প তো অনেক শুনেছেন। কিন্তু পরিবার পাত্র-পাত্রীর চাপে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন, এমন গল্প কি শুনেছেন কখনো? এমনই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল পাকিস্তানে।
আইনত পাকিস্তানের ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে ছেলে ও মেয়েদের উভয়ের ক্ষেত্রেই ন্যূনতম আইনি বিয়ের বয়স ১৮ বছর। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ করার দাবি তোলা হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই দাবি আইনে পরিণত হয়নি। বর্তমানে ১৩ বছরের কিশোর কিশোরীর এমন ঘটনা রীতিমতো চর্চিত নেট মহলে। পাকিস্তানের বিয়ের বয়স নিয়ে আইনি কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা বাল্যবিবাহ হিসেবে চরম নিন্দিত নেটিজেন মহলে। হবু কিশোর কিশোরীর পাত্র-পাত্রী ভিডিও ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে পাকিস্তানের হবু পাত্রের বয়স ১৩ আর পাত্রী সবে ১২ ছুঁয়েছে। পাকিস্তান থেকে সাম্প্রতিক ভাইরাল ভিডিও ঘিড়ে আরও যে বিষয় শোনা যাচ্ছে তা হল, কিশোর নাকি বাড়িতে বায়না করেছিল তার বিয়ে না দিলে আর লেখাপড়াই করবেন না তিনি। তার চরম হুমকি পাওয়ার পরই টনক নরে পরিবারের। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা করা হয় এনগেজমেন্টের।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হবু বিয়ের দিনক্ষণেও নাকি সিলমোহর পড়েছে। ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন কিশোর-কিশোরীর দুজনের অভিভাবকই। কিশোরীর মা জানিয়েছেন তিনি মেনে নিয়েছেন এই সম্পর্ক। বলেছেন তার নিজের বিয়ে হয়েছিল ১৬ বছরে। সেটা নিয়েও কোনও অসুবিধা হয়নি। এদিকে ছেলের মা জানিয়েছেন তার বিয়ে হয়েছিল ২৫ বছরে। কিন্তু ছেলের এত কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার পূর্ণ সমর্থন করছেন তিনিও।
তবে এই ঘটনার চরম নিন্দা করছেন নেটিজেনরা। তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, এটা খুব বাড়াবাড়ি হয়েছে। আরেকজনের মন্তব্য এই কিশোরের বাবার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক, তাই একমাত্র ছেলের এনগেজমেন্টের ব্যবস্থা করে রাখা হলো। তবে কিশোর কিশোরীর এই বিয়েকে বাল্যবিবাহের আখ্যাই দিয়েছেন বেশিরভাগ পাকিস্তান বাসি।
No comments:
Post a Comment