মূত্র থেকেই জ্বলবে আলো-চলবে পাখা, মূত্র থেকে তৈরি হবে বিদ্যুৎ! চমক আইআইটি বিজ্ঞানীদের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 22 February 2024

মূত্র থেকেই জ্বলবে আলো-চলবে পাখা, মূত্র থেকে তৈরি হবে বিদ্যুৎ! চমক আইআইটি বিজ্ঞানীদের


মূত্র থেকেই জ্বলবে আলো-চলবে পাখা, মূত্র থেকে তৈরি হবে বিদ্যুৎ! চমক আইআইটি বিজ্ঞানীদের




প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ ফেব্রুয়ারি: মানুষের মূত্র থেকে এবার জ্বলবে আলো, চলবে পাখা। আশ্চর্য হলেন? চমক দিলেন আইআইটির বিজ্ঞানীরা। তারা গবেষণায় যা বলেন তাতে রীতিমতো আশ্চর্য হতে হবে। মূত্র থেকে হবে বিদ্যুৎ তৈরি। চলছে রীতিমতো তার কর্মযজ্ঞ। কেরলের আইআইটি পালাক্কাড়ের গবেষকদের একটি দল তৈরি হল এক বিশেষ ধরনের চুল্লীর। এই চুল্লি এক দিকে নাইট্রোজেন ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ জৈব সার তৈরি করতে পারে। আবার একই সময় প্রস্রাবে উপস্থিত রাসায়নিক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। 


শক্তির চাহিদা বাড়াতে বিকল্প শক্তির সন্ধানে নিরন্তন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আইআইটি পালাক্কাড় জানিয়েছেন, প্রযুক্তিতে একটু অন্যভাবে প্রস্রাব ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ প্রস্রাব, মলের সঙ্গে মিশে গেলে চলবে না। এটি শহর এবং গ্রাম দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ইলেকট্রোকেমিক্যাল চুল্লি অ্যামোনিয়া শোষণকারী কলম ডিক্যালোরাইজেশন এবং ক্লোরিনেশন চেম্বার প্লাম্বিং এবং ইলেকট্রিক্যাল ম্যানিফোল্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে প্রযুক্তিটি। ইলেক্ট্রকেমিক্যাল চুল্লিতে ম্যাগনেসিয়াম অ্যানোড এবং একটি কার্বন ক্যাথোড ব্যবহার করেন।


এবারে জানা যাক কীভাবে তৈরি হবে এই চুল্লিটি।

চুল্লিটি তৈরি হবে এক্রেলিকের, যার মধ্যে অবস্থান করে অ্যানোড এবং ক্যাথোডটি। এর মধ্যে এবার প্রস্রাব ঢালতেই ইলেকট্রো কেমিক্যাল বিক্রিয়া শুরু হয়। এই বিক্রিয়ার ফলে একই সঙ্গে বিদ্যুৎ এবং জৈব সার উৎপন্ন হয়। এই জৈব সার নাইট্রোজেন ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হয়। এই উপাদানগুলো উদ্ভিদের পুষ্টি জন্য অপরিহার্য হতে পারে। এই প্রক্রিয়ার প্রতি চক্রের প্রায় ৫০০ মিলিওয়াট এবং ৭ থেকে ১২ ভোল্টের বিদ্যুৎ তৈরি হয়।


গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এই পদ্ধতিতে তৈরি বিদ্যুৎ মোবাইল ফোন এবং এলইডি আলো চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আইআইটি গবেষকদের দাবী ভবিষ্যতে থিয়েটার বা শপিংমলের মতন জায়গার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে এই প্রযুক্তি। বর্তমানে এই প্রযুক্তিটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। গবেষণা দলে রয়েছে সঙ্গীতা ভি, সৃজিত পিএম এবং রিনুআনা কোশি। সেপারেশন এবং কিউরোপেশন টেকনোলজি জার্নালে তারা তাদের গবেষণা পত্রটি প্রকাশ করেছেন। এই গবেষণার জন্য অর্থ দিয়েছে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আয়তায়ধীন সায়েন্স ফর ইক্যুইটি এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। হয়তো এরপর এমন এক সময় আসবে আমাদের রোজ মূত্র জমিয়ে রাখতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য!

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad