বিবাহিত না হয়েও কেন সিঁদুর পরতেন লতা মঙ্গেশকর?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ ফেব্রুয়ারি: লতা মঙ্গেশকর, ভারত তথা সমগ্র বিশ্বে সংগীত প্রেমীদের কাছে যুগ যুগ ধরে অবিস্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে এই নামটি। তিনি সুরের রাণী, ভারতের নাইটিঙ্গেল। গত কয়েক দশকে লতা মঙ্গেশকরের গায়কীকে টেক্কা দেবে এমন কোনও গায়িকার আবির্ভাব হয়নি। এহেন লতা মঙ্গেশকরের জীবনে রয়েছে একাধিক বিতর্ক। তেমনই এক বিতর্ক ছিল বিবাহিতা না হওয়া সত্ত্বেও তার সিঁদুর পরাকে কেন্দ্র করে।
লতা মঙ্গেশকর খুব কম বয়সে গানের জগতে পা রাখেন। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, তেলেগু সহ একাধিক ভাষায় হাজার হাজার গান গেয়েছেন তিনি। তার গানে বলিউডের কত সিনেমার প্রেমের গল্প পূর্ণতা পেয়েছে! অথচ তার নিজের জীবনেই প্রেম ছিল অসম্পূর্ণ। ডুঙ্গারপুর রাজ পরিবারের মহারাজা রাজ সিংহের প্রেমে পড়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। প্রেম দুই তরফ থেকে সমান থাকলেও শেষমেষ বিয়েটা আর হয়নি।
মহারাজা রাজ সিংহ ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন ক্রিকেটার। তিনি বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। লতার ভাই হৃদয়নাথের বন্ধু ছিলেন রাজ সিংহ। হৃদয়নাথের সূত্রেই দুজনের প্রথম আলাপ হয়। বন্ধুর দিদির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় রাজ সিংহের। ক্রমশ তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। ভালোবেসে লতাকে ‘মিঠু’ নাম দেন রাজ সিংহ।
তবে প্রেমের সম্পর্ক যখন পরিণতি পেতে চাইল তখন বাধ সাধলো রাজ সিংহের পরিবার। রাজ সিংহের বাবা মহারাওয়াল লক্ষণ সিংজি লতার সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। সাধারণ পরিবারের মেয়ে রাজ পরিবারের বউ হবে এটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। বাবা-মায়ের কাছে রাজ সিংহকে প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিল কোনও সাধারণ পরিবারের মেয়েকে তিনি বিয়ে করতে পারবেন না।
বাবা-মায়ের আজ্ঞা পালন করতে লতাকে বিয়ে করতে পারলেন না ঠিকই, তবে জীবনে আর কখনও বিয়ে না করার কঠিন প্রতিজ্ঞা করে ফেললেন রাজ সিংহ। একইভাবে লতাও আজীবন অবিবাহিত থাকার সিদ্ধান্ত নেন। আজীবন ভাল বন্ধু হয়ে একে অপরের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে মনে মনে নাকি রাজ সিংহকেই স্বামী হিসেবে মেনে ছিলেন লতা। তাই তিনি তার নামেই সিঁদুর পরতেন, এমনই জল্পনার প্রচলন রয়েছে।
অনেকেই মনে করতেন রাজ সিংহ এবং লতা মঙ্গেশকর নাকি গোপনে বিয়ে করেছেন। তারই প্রতিক হিসেবে সিঁথিতে সিঁদুর পরতেন লতা। এই প্রসঙ্গে একবার মুখ খুলেছিলেন লতা নিজেই। তিনি বলেন বিয়ে তার হয়নি। তিনি আজীবন কুমারী। গানই তার প্রেম, ভালোবাসা। তাই সঙ্গীতের নামেই সিঁদুর পরেন তিনি।
No comments:
Post a Comment