প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলী
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিধায়ক ইদ্রিশ আলী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুতে শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তাকে পার্ক স্ট্রিট কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
ইদ্রিশ আলী দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থেকে বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে তাকে প্রচারের মাঠে দেখা যায়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বিপুল ভোটে জিতেছেন। জানা যায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি তাকে হাঁটতে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বিধানসভার অধিবেশনেও যোগ দিতে পারেননি।
কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে, যখন পরিবর্তনের হাওয়া প্রবল ছিল, তখন তৃণমূল তাকে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে প্রার্থী করেছিল। রাজ্য বদল হলেও সে সময় তিনি জিততে পারেননি। ২০১৪ সালে, তৃণমূল তাকে বসিরহাট লোকসভা আসনের জন্য মনোনীত করেছিল। সে সময় তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তবে ২০১৯ সালে নুসরাত জাহান এই কেন্দ্রের জন্য নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে, তৃণমূল তাকে ভগবানগোলা থেকে প্রার্থী করেছিল।
তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন প্র্যাকটিস করেন। তার পারিবারিক ব্যবসাও ছিল। ২০০৭ সালে, তিনি কলকাতায় একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তার ভাষা নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শও দেন। ইদ্রিশ আলীর মতো একজন অভিজ্ঞ নেতাকে হারানো দলের জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।
তার মৃত্যুতে দলের সিনিয়র নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। দলের প্রবীণ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment