বাবার চতুর্থ বিয়ে, মুখ দেখানো দায়! লজ্জায় বলিউড থেকে হারিয়ে গেলেন আমিরের নায়িকা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক,১৯ ফেব্রুয়ারি: ৯০ এর দশকের বলিউড অভিনেত্রী পূজা বেদীকে নিশ্চয়ই মনে আছে আপনার? প্রখ্যাত অভিনেতা কবীর বেদীর মেয়ে পূজা। অভিনেত্রী হিসেবে তার নিজস্ব পরিচিতিও কিছু কম নয়। আমির খানের জো জিতা ওহি সিকান্দার ছবি তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তুলেছিল। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রি থেকে অকালে হারিয়ে গেলেন পূজা। কেন জানেন?
পূজা বেদীর বাবা কবীর বেদী ৭০-৮০ এর দশকের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। যতটা জনপ্রিয়তা তিনি ছবি থেকে কুড়িয়েছিলেন তার থেকেও বেশি প্রচারে এসেছেন একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়ানোর কারণে। তার প্রেম জীবন বরাবরই রঙিন। ৭০ বছর বয়সে নিজের মেয়ের থেকেও ছোট বয়সের মেয়েকে বিয়ে করেন কবীর। এটা ছিল তার চতুর্থ বিয়ে।
বাবার মতই মেয়ের জীবনও নানা রঙে মোড়া। ১৯৯১ সালে ‘বিষকন্যা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন পূজা। তাকে নব্বইয়ের দশকের সাহসী অভিনেত্রীদের মধ্যে ধরা হত। তার কারণ ওই সময় তার সমকালীন অভিনেত্রীরা সাহসী দৃশ্য এড়িয়ে চলতেন পর্দায়। সেখানে পূজার খোলামেলা বোল্ড সিনে অভিনয় করতে আপত্তি ছিল না।
একবার সাওয়ারের একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করে রাতারাতি লাইমলাইটে চলে আসেন পূজা। এই বিজ্ঞাপনটিকে নিয়ে তুমুল সমালোচনায় চলেছিল। অনেক বিতর্ক হয়েছিল তাকে নিয়ে। এটিকে টিভির অত্যন্ত সাহসী বিজ্ঞাপন বলে গণ্য করা হয়েছিল সেই সময়। যে কারণে বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও এই বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা চমৎকার বলে জানান পূজা।
যেখানে কবীর বেদীর একের পর এক বিয়ে এবং বিচ্ছেদের খবরে তোলপাড় চলছিল বলিউডে, সেখানে ১৯৯৪ সালে পার্সি মুসলিম ফারহান ইব্রাহিমকে বিয়ে করে চর্চায় আসেন পূজাও। বিয়ের আগে তিনি ধর্ম পরিবর্তন করে নেন। বিয়ের পর ১৯৯৭ সালে কন্যা আলায় এবং ২০০০ সালে পুত্র ওমরের জন্ম দেন পূজা। তবে এরপরই স্বামীকে ‘তালাক’ দিয়ে দেন অভিনেত্রী।
পূজা বেদীর বলিউড কেরিয়ারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৫ থেকে ৬ বছরের। অনেক সুপারহিট ছবির প্রস্তাব তিনি ফিরিয়েছেন। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’, ‘লুটেরা’, ‘শক্তি’, ‘ফির তেরি কাহানি ইয়াদ আয়ে’ এর নাম উল্লেখযোগ্য।
No comments:
Post a Comment