শেষকৃত্যেও থিম! এই অবিশ্বাস্য আপনিও ভাবতে পারবেন না
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারি: থিম বিবাহ সম্পর্কে অনেকেই শুনেছেন, কেউ রূপকথার বিয়ের থিম পছন্দ করেন, কেউ রাজকীয়তা পছন্দ করেন। কেউ সৈকত বিবাহের থিমে এবং কেউ রাজস্থানী থিমে বিয়ে করতে চান। কিন্তু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্যও কি থিম থাকতে পারে? উত্তর হল হ্যাঁ। এটি শুনতে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু এটা সত্যি। বিয়ের মতো শেষকৃত্যেও থিম চায় লোকেরা। কেউ হরর থিম পছন্দ করে, আবার কেউ স্বর্গের মতো ফুল দিয়ে সাজানো কবরস্থান। পুরো খবর জানার পর হয়তো যে কেউ বলে উঠবেন-'এখানে তো মরতেও মজা।'
মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সব ঘটছে ব্রিটেনে। সেখানকার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালকরা জানান শেষকৃত্যের জন্য মানুষের কাছ থেকে কীসব অদ্ভুত দাবী আসছে। তিনি বলেন, 'যদিও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কোনও মজার বিষয় নয়, তবে আপনি যদি শেষকৃত্য কীভাবে করতে চান তা আগে থেকেই ভেবে থাকেন, তাহলে অবশ্যই মজা হতে পারে। এমন অনেক দাবী আমরা পূরণ করেছি। মনে হচ্ছিল যেন মানুষ মৃত্যু উদযাপন করছেন। মানুষ মৃত্যুর আগে এমন দাবী লিখে রাখে। পরিবারের সকল সদস্যরাও থিম নিয়ে আসেন।'
কেউ কেউ নিজের পেশার হিসাবেও শেষকৃত্যও করতে চেয়েছিলেন। একজন কৃষক তার কফিন ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, যখন তার মৃত্যু হবে, কফিনটি তখন সবুজ ঘাসে মোড়ানো হোক, যাতে জানা যায় মৃতদেহটি কোনও কৃষকের। প্রকৃতির প্রতি ছিল তাঁর গভীর ভালোবাসা। একটি মুদি দোকানের মালিক তার কফিন ফুলের পরিবর্তে ফল এবং সবজি দিয়ে সজ্জিত করার দাবী করেছিলেন। একজন ব্যক্তি ফাদার ক্রিসমাসের পোশাক পরে কবরে শায়িত হতে চেয়েছিলেন। একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় কবরে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও চেয়েছিলেন যে, লোকেরা চোখের পলক না ফেলে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকুক।
মৃতদের মধ্যে কেউ কেউ চেয়েছিলেন যে তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সায়েন্স ফিকশন সাবজেক্টের ওপর হোক, যেখানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা লোকেরা ডার্থ ভাদর বা গ্যান্ডালফ রূপে সেজে আসবে। শোকার্তদের রকি হরর থিমযুক্ত সাসপেন্ডার এবং স্টিলেটোতে আসতে বলা হয়। একজন চেয়েছিলেন যে, যেহেতু তিনি সারাজীবন নাস্তিক ছিলেন, তাই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া লোকেরা যেন পায়জামা পরে এসে উদযাপন করেন। একজন দাবী করেছিলেন যে, তাকে যখন কফিনে রাখা হবে, তখন তাকে সান্তা ক্লজের মতো তৈরি করা হোক। উৎসবমুখর পরিবেশ থাকতে হবে যাতে মানুষের মন খারাপ না হয়।
No comments:
Post a Comment