"আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে সহিংসতা-ছিনতাইয়ের খবর আসত, এখন বিনিয়োগের আলোচনা হচ্ছে": প্রধানমন্ত্রী মোদী

"আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে সহিংসতা-ছিনতাইয়ের খবর আসত, এখন বিনিয়োগের আলোচনা হচ্ছে": প্রধানমন্ত্রী মোদী

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারি : লখনউতে উত্তরপ্রদেশের গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিটের চতুর্থ গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, "কয়েক বছর আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে উত্তরপ্রদেশে এমন বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হবে, আগে সর্বত্র সহিংসতা ও ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া গেছে। এখন এখানে বিনিয়োগের খবর আসে।  উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ এলে আমি খুব খুশি বোধ করি।  পরিবর্তনের প্রকৃত অভিপ্রায় থাকলে তা কেউ আটকাতে পারবে না, এটা তার উদাহরণ।"

 পিএম মোদী বলেন যে, "গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশ থেকে রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে, তা বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা ট্রান্সমিশন, আজ ইউপি প্রশংসনীয় কাজ করছে।" প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে উত্তরপ্রদেশ এমন রাজ্য যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে, প্রথমটি হল র‌্যাপিড রেড।  নদীপথে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে।  এখানে দৃশ্যমান আশার বাণী অনেক বিস্তৃত।  অন্যান্য দেশগুলি ভারতের বৃদ্ধির বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।  উন্নত ভারতের জন্য নতুন চিন্তা ও ধারণা প্রয়োজন।

 

 ২০১৪ সালের আগে, ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর আয়কর ধার্য করা হয়েছিল।  এখন ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর কোনও কর নেই।  আমরা বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রায় সুবিধাভোগীদের তাদের বাড়ির কাছে প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করেছি।  মোদীর গ্যারান্টিযুক্ত গাড়ি পৌঁছে গেছে প্রতিটি গ্রাম-শহরে, যখন সরকার নিজেই সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছেছে, তখন এটাই সামাজিক ন্যায়বিচার।  আগে দুর্নীতি ও বৈষম্যের কারণে মানুষকে লাইনে দাঁড়াতে হতো।

 প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, "মোদী এমনকী তাদেরও জিজ্ঞাসা করছেন যাদের কেউ কখনও জিজ্ঞাসা করেনি।  আমরা রাস্তার বিক্রেতাদের জন্য পিএম স্বানিধি স্কিম নিয়ে এসেছি।  এই প্রকল্পের অধীনে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে।  ২২ লক্ষ রাস্তার বিক্রেতা এর থেকে উপকৃত হয়েছেন।  গরীব সাপোর্ট পেলে যে কোনও কিছু করতে পারে।  এটাই সামাজিক ন্যায়বিচার, যার স্বপ্ন কখনও জেপি আবার কখনও লোহিয়া দেখেছিলেন।  আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনীতি দুই ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার প্রদান করে।  ১০ বছরে, আমরা ১০ কোটি বোনকে প্রকল্পের সাথে যুক্ত করেছি এবং ১ কোটি মানুষকে লখপতি দিদি বানিয়েছি।  এখন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩ কোটি বোনকে লখপতি দিদি বানানো হবে।