কোনটি খাবেন?পলিশড না আনপলিশড চাল?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২২ ফেব্রুয়ারি: আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি খাওয়া খাবার কী?এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত চাল এবং ডাল হবে।কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ডাল-ভাত নানাভাবে রান্না করে খাওয়া হয়।অবশ্যই সবজি খাবারে ডালের প্রতিস্থাপন করতে পারে,তবে ভাতে কোনও প্রতিযোগী নেই।ভাত এখনও আমাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ভারতে আজও মানুষ দিনে একবার হলেও ভাত খায়।ইউএসডিএ ফুড ডাটা সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী ভাত কার্বোহাইড্রেট,ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালরি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।এর পাশাপাশি ভাতে স্টার্চ থাকে যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।আজকাল পৃথিবী যেমন দ্রুত এগিয়ে চলেছে,খাদ্য সামগ্রীর বৈচিত্র্যও বাড়ছে।
বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের চাল পাওয়া যাচ্ছে।চাল কিনতে বাজারে গেলে দোকানী জিজ্ঞাসা করে কোন চাল দেবে, পালিশ করা নাকি পালিশ না করা।দোকানদারের কথা শুনে আমরা সাধারণত পালিশ করা চাল বাসায় নিয়ে আসি।কিন্তু এই পুরো ঘটনার পর মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে, পালিশ করা চাল আর পালিশ না করা চালের মধ্যে পার্থক্য কী এবং দুটোর মধ্যে কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর হবে?এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ পায়েল রোহাতগি।
কোন চাল স্বাস্থ্যকর,পালিশ করা নাকি পালিশ না করা?
পুষ্টিবিদদের মতে,মাঠ থেকে কারখানায় ধান আনা হলে তা প্রক্রিয়াজাত করে চাল তৈরি করা হয়।ধান প্রথম প্রক্রিয়াকরণের পর যে চাল বের হয় তা হল অপরিশোধিত চাল।এতে চাল খুব আকর্ষণীয় দেখায় না।অপরিশোধিত চাল ফাইবার,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। একবার চাল তোলা হয়ে গেলে,প্রক্রিয়াকরণটি বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয় যাতে এটিকে পালিশ করা হয় এবং গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এটিকে চকচকে দেখায়।এগুলোকে পলিশড রাইস বলা হয়।
পালিশ করা চালে খনিজ ও ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়।এতে শুধু কার্বোহাইড্রেট এবং স্টার্চ থাকে।পুষ্টিবিদরা বলছেন, পালিশ না করা চালের ভাত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।যেখানে স্টার্চ থাকার কারণে পালিশ করা চাল স্বাস্থ্যকর নয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পালিশ করা চালে সাদা চাল থাকে।অপরিশোধিত চালের মধ্যে রয়েছে লাল চাল এবং বাদামী চাল।
পালিশ করা চাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,পালিশ করা চালে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে।পালিশ করা চাল খেলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়,যা ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
পালিশ করা চালে স্টার্চ এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।যদি এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি ওজন বাড়াতে পারে।
পালিশ করা চালে বেশি পরিমাণে স্টার্চ পাওয়া যায়।অতিরিক্ত পরিমাণে স্টার্চ খেলে রক্তচাপ এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment