যমজ সন্তান হবে কি না, জানাবে যেসব লক্ষণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ ফেব্রুয়ারি:
যমজ সন্তান গর্ভে ধারণ করার বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো। তবে চাইলেই তো আর যমজ সন্তান জন্ম দেওয়া যায় না। অনেক দম্পতিই যমজ সন্তান চান। হয়তো দুটি বাচ্চার আকাঙ্ক্ষা কিংবা দুবার গর্ভধারণের ঝক্কি নিতে না চাওয়া।
যমজ সন্তান মূলত দু'রকম হয়।প্রথমটি হল আইডেন্টিকাল টুইন বা মনোজাইগটিক টুইন। এমন যমজরা দেখতে হুবহু একই রকম এমনকি আচার ব্যবহারেও এদের খুব মিল থাকে।
এ ধরনের যমজ শিশুরা জন্মায় যখন একটি ডিম্বাণু একটি শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত হওয়ার পর ভেঙে গিয়ে দুটি ভ্রূণে পরিণত হয়। একই প্লাসেন্টার মধ্যে একই তরলের মাঝে ভেসে ভেসে তারা বড় হয়।
পরপর যে দুটি পাতলা পর্দার মতো আবরণের মাঝে তারা নিরাপদ থাকে,কখনো সেই দুটিও থাকে এক।কখনো একটি আলাদা হয়।এসব কারণেই তাদের চেহারা ছবি ও আচরণ একই রকম হয়।
আরেক ধরনের যমজ আছে,যাদেরকে বলা হয় ফ্র্যাটেরনাল টুইন বা ডাইজাইগোটিভ টুইন। চেহারা ও স্বভাবে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী যমজ সন্তানও জন্মায় কখনো। তারা জন্মায় দুটি আলাদা ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে। তারা বড় হয় আলাদা প্লাসেন্টার মাঝে।
যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ে যেসব কারণে:
১)মায়ের বয়স বাড়লে যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। বিশেষ করে ৩৫ বছরের পর হলে। এ সময় মায়ের ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে।
ফলে মাসিকের পর একটির বদলে একাধিক ডিম্বাণু বের হতে পারে। আর স্বাভাবিকভাবে যতবেশি ডিম্বাণু,তত বেশি সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা
২)লম্বা ও বেশি ওজনের নারীদের মধ্যেও যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা আছে। গবেষণা বলছে,৫ফিট ৪ ইঞ্চির বেশি উচ্চতার অধিকারী নারীদের ক্ষেত্রে যমজ সন্তানের সম্ভাবনা বেশি। এমনকি যাদের ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রেও এই সম্ভাবনা বেশি।
৩)মায়ের পরিবারের কারও যদি যমজ সন্তান থাকে তাহলে ফ্র্যাটারনিটি টুইন জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ে।আবার বাবার দিক থেকেও যদি কারও থাকে সেক্ষেত্রে আইডেন্টিকাল টুইন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
No comments:
Post a Comment