"শেখ শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে", সন্দেশখালি মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২০ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টে আজ সন্দেশখালি মামলার শুনানি হয়। এই মামলায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার না করার জন্য আদালত রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করেছে। হাইকোর্ট বলে, "এই ব্যক্তি এভাবে সহজে পালাতে পারে না। অবশ্যই আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হয়েছে।" প্রধান বিচারপতি বলেন, শেখ শাহজাহান একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি আইনের তোয়াক্কা করতে পারেন না। দেখা যাক তিনি আদালতে হাজির হন কি না।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় আমরা তাকে এখানে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিই। মামলা শুরু হওয়ার ১৮ দিনেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। একজন ব্যক্তি যিনি পুরো সমস্যাটি ঘটিয়েছেন তিনি এখনও মুক্ত। এখন পর্যন্ত তিনি কীভাবে বেঁচে আছেন তা আমরা জানি না। পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি। যত দ্রুত সম্ভব তাকে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্য তাকে বাঁচাতে পারে না।"
কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আমলে নিয়েছে। এছাড়াও এই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সন্দেশখালি ইস্যুতে গুরুতর মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন যে "তৃণমূল নেতারা যেখানেই থাকুন না কেন আত্মসমর্পণ করুন।" আদালত বলেছে, তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ, স্থানীয় মানুষের জমি দখল ও মহিলাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির হামলার পর পলাতক শাহজাহান।
সন্দেশখালি সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচিত শাহজাহানকে ইডি তিনটি সমন জারি করেছে। শেখ পলাতক হলে তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করা হয়। ৪৫ দিন পার হলেও শেখ শাহজাহানের কাছে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। ইডি এবং অন্যান্য সংস্থা তার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। সন্দেশখালি সহিংসতায় শেখ শাহজাহানের পাশাপাশি শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের নামও উঠেছিল। পুলিশ এখনও পর্যন্ত শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করেছে।
No comments:
Post a Comment