সন্দেশখালি কাণ্ডের আবহেই রাজ্যে ঢুকছে আধা সামরিক বাহিনী, আসছেন মহিলা সেনা জওয়ানও
কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যে ঢুকছে আধা সামরিক বাহিনী। আসছে মহিলা সেনা জওয়ানও। সন্দেশখালি কাণ্ডের মধ্যেই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদনে -
প্রসঙ্গত গত ৫ জানুয়ারী এই উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনার পরই কলকাতায় এসেছিলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। বেশ কয়েক ঘন্টা অফিসারদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর তখনই এই রাজ্যে ইডি অফিসারদের সুরক্ষা দিতে অতিরিক্ত দুই কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজন বলে মনে করেন রাহুল নবীন। তারপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। ইডি কর্তাদের একাংশ জানান, সন্দেশখালি যথেষ্ট শিক্ষা দিয়েছে। সেখানে প্রায় হাজার দেড়েক মহিলা-পুরুষ তদন্তকারী অফিসারদের লোহার রড ও কাঠের ডাণ্ডা দিয়ে আক্রমণ করে। তারপরই হেলমেট, লাঠি, ডালকাদানি গ্যাস এবং আধুনিক রাইফেল ইত্যাদি জওয়ানদের সাথে রাখার নির্দেশ জারি হয়।
সিআরপিএফের এক কর্তার কথায় সন্দেশখালিতে নিখুঁত পরিকল্পনা। মহিলাদের সামনে রেখে হামলা চালানো হয়েছিল। মহিলাদের আটকানোর চেষ্টা হলে যৌণ নিগ্রহের অভিযোগ, ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। তাই এখন অভিযানে মহিলা জওয়ানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখন মোট ১৮০ জন আধা সামরিক জওয়ান ঘিরে থাকছেন ইডির কলকাতার অফিসারদের। ইডি সূত্রে খবর, এবারও আরও প্রায় ১৮০ জন অতিরিক্ত জওয়ান পেতে চলেছেন ইডির কলকাতার অফিসাররা।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে যে অতিরিক্ত বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, শুক্রবার তারই অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইডির অন্য সূত্রের খবর , ভবিষ্যতে কোনও বড় অভিযান চালাতে গেলে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে। বাড়ানো হচ্ছে মহিলা জওয়ান দের সংখ্যাও।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আরও জানা যায়, বর্তমানে সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসারদের নিরাপত্তা তল্লাশির জন্যও এক কোম্পানি সিআরপিএফ রয়েছে। সিআরপিএফ সূত্রে দাবী, চলতি সপ্তাহে ধাপে ধাপে আর যে দুই কোম্পানি কলকাতায় যোগ দেবে সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ জন মহিলা জওয়ান রয়েছেন। তবে এখনও দিন ঘোষণা না হলেও লোকসভা নির্বাচন যে বেশি দেরি নেই, তা নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা দেখেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের বাহিনী চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য বিষয়, সেই রিপোর্টে সব থেকে বেশি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। এখনও পর্যন্ত যে সংখ্যাটা কাশ্মীরের নির্বাচনেও থাকতো না তার থেকেও বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গে।
No comments:
Post a Comment