গ্ৰেফতার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি
উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: গ্ৰেফতার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। দিনভর নাটক আর চাপানউতরের পর অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় আটক হন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ি থেকৈ প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়। এরপর সোমবার সকালে তাঁকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ। ছয় জন লিখিতভাবে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজই বসিরহাট আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
গ্ৰামবাসীদের তাড়া খেয়ে আত্মরক্ষার জন্য এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন অজিত মাইতি। দুপুর থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও সেটাকেই নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে করেন তিনি, বেরিয়ে আসতে বললেও বের হন না।
দলের লোকজনের সঙ্গে রবিবার সকালে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে গ্ৰামবাসীদের তাড়া খেয়ে স্থানীয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবার। কিন্তু বিরক্তি প্রকাশ করলেও তাঁদের বাড়ির বারান্দার আশ্রয় ছাড়তে নারাজ অজিত মাইতি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাহায্যের জন্য আর্জি জানান তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, আমি কোনও অন্যায় করিনি। পচা আলু হয়ে গেছি। ২০১৯ সালে বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছিলাম।
এর পরই রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়ে দেন দল অজিত মাইতির পাশে নেই। তিনি বলেন, 'অঞ্চল সভাপতির পর থেকে অজিত মাইতিকে সরিয়ে দিয়েছি। উনি কোনও কালেই অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন না। জয়েন কনভেনর তো আগেই জানালাম হলদর ও শক্তি দা। কেউ অন্যায় করলে সে শাস্তি পাবে।'
দলের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো মুখে কুলুপ আঁটেন অজিত মাইতি। চুপ করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ির বারান্দার চৌকিতেই বসেছিলেন। অপরদিকে বাড়ির বাইরে বিক্ষোভকারীরা অজিতকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবী জানাতে থাকেন।
এসপি কে ফোন করা হয় অজিত কে বের করতে পরে বেরমজুর গ্রামে পৌঁছান ডিআইজি (বারাসত) আইজি (ট্র্যাফিক), বসিরহাট পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী। তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, বৈঠক করেন। এরপর সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ অজিত মাইতিকে সন্দেশখালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment