"আপনারই অপেক্ষা করছিলাম,কোথায় পলাতক ছিলেন?" শাহজাহানের আইনজীবিকে কটাক্ষ বিচারপতির
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৯ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : সন্দেশখালি সহিংসতার প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। এরপর শাহজাহানের আইনজীবী তৃণমূল নেতার জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, "চমৎকার... আমরা শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ৪২টি মামলা বিচারাধীন, এত দিন কোথায় পলাতক ছিলেন?" শাহজাহানের জামিন আবেদনের শুনানি দ্রুত করতে রাজি হননি হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, "আমার মক্কেল শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" আইনজীবী আরও বলেন, "আমার মক্কেলের আগাম জামিনের আবেদন বিচারাধীন ছিল এবং সম্প্রতি তা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মামলাগুলো এখনও বিচারিক আদালতে বিচারাধীন।" এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে বলেন, "আগামী ১০ বছর আপনার অনেক কাজ থাকবে। কিন্তু আপনার কাছে আর কোনও বিবরণের জন্য সময় থাকবে না।" আইনজীবী বলেন, "আমি নিয়মিত জামিনের আবেদন করতে পারি না, তা কি তালিকাভুক্ত করা যাবে?"
প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনাকে ১০ বছর ব্যস্ত রাখবে। সেই ব্যক্তির প্রতি কোন সহানুভূতি নেই।" হাইকোর্ট বলেছে, "সোমবার আসুন আবেদন করতে, তারপর দেখা যাবে।" কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে অস্বীকার করেছে। শেখ শাহজাহানের আইনজীবী রাজা ভৌমিক বলেন, "পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিল কিন্তু আদালত ১০ দিনের সময় দিয়েছে। আগামী ১০ মার্চ তাকে আবারও আদালতে হাজির করা হবে।"
৫৫ দিনের সংগ্রামের পর গ্রেফতার করা হয় সন্দেশখালির মূল হোতা শেখ শাহজাহানকে। উত্তর ২৪ পরগনার মীনাখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ৪৯টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। শেখের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে নারীদের যৌন হয়রানি, জমি দখল, রেশন কেলেঙ্কারি, খুন এবং ইডিতে হামলার মতো অনেক অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment